শিরোনাম
◈ গাজীপুরে হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু  ◈ বিশৃঙ্খলার পথ এড়াতে শিশুদের মধ্যে খেলাধুলার আগ্রহ সৃষ্টি করতে হবে: প্রধানমন্ত্রী ◈ তাপপ্রবাহের কারণে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসও বন্ধ ঘোষণা ◈ সোনার দাম কমেছে ভরিতে ৮৪০ টাকা ◈ ঈদযাত্রায় ৪১৯ দুর্ঘটনায় নিহত ৪৩৮: যাত্রী কল্যাণ সমিতি ◈ অনিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল বন্ধে বিটিআরসিতে তালিকা পাঠানো হচ্ছে: তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ◈ পাবনায় হিটস্ট্রোকে একজনের মৃত্যু ◈ জলাবদ্ধতা নিরসনে ৭ কোটি ডলার ঋণ দেবে এডিবি ◈ ক্ষমতা দখল করে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে: মির্জা ফখরুল ◈ বেনজীর আহমেদের চ্যালেঞ্জ: কেউ দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারলে তাকে সেই সম্পত্তি দিয়ে দেবো (ভিডিও)

প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০১৮, ০২:৩৮ রাত
আপডেট : ২৮ জুন, ২০১৮, ০২:৩৮ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

বাবা মার প্রতি সন্তানের কর্তব্য ও দায়িত্ব

ফয়জুল্লাহ খান: সন্তানের কাছে বাবা মা সবচে আপনজন, সবচে প্রিয়? এ জীবনের জন্য আমরা তাদের কাছে চির ঋণী। এই ঋণ কখনোই শোধ হবার নয়। তাই আমাদের উচিৎ মা-বাবার প্রতি আমাদের দায়িত্বগুলো যথাযথ পালন করা। সন্তান মায়ের পেটে থাকাকালীন মায়ের প্রচ- কষ্ট হয়। নয় মাস মায়ের পেটে থাকার পর সন্তানের পৃথিবী পৃষ্ঠে এলে মায়ের দ্বিগুণ কষ্টের সূচনা হয়। মা-বাবা এ অবুঝ শিশুকে বড় করে তোলেন। মা-বাবা কষ্ট করে টাকা উপার্জন করেন। সন্তানের জন্য খাদ্য, বস্ত্র, অন্ন থেকে শুরু করে প্রতিটি জিনিস অকাতরে সন্তানের কল্যাণে বিলিয়ে দেন।

মা বাবা যা করতে নিষেধ করেন সেটা কখনোই করা উচিৎ না। এ সম্পর্কে রসূল (সা) বলেন, “পিতা মাতার সন্তুষ্টির ওপর আল্লাহ্র তুষ্টি নির্ভর করে। আর আল্লাহর অসন্তুষ্টিও মা-বাবার অসন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করে” অর্থাৎ, মা-বাবা খুশি হলে আল্লাহও খুশি হন। আর মা-বাবা সন্তানের ওপর মন খারাপ করলে আল্লাহও ওই সন্তানের ওপর অসন্তুষ্ট হোন। রসূল সা. বলেছেন, “মায়ের পায়ের নিচে সন্তানের বেহেস্ত।” অর্থাৎ, যারা মায়ের সেবা করবে তারা জান্নাতে যাবে মা-বাবার সাথে কখনোই খারাপ আচরণ করা উচিত না। সন্তানের কখনোই মা-বাবার সাথে বেয়াদবি করা উচিত না, তাদেরকে ধমক দেয়া অনুচিত, তাদের সাথে রাগ না করা, উঁচু গলায় কথা না বলা। আমরা এমন কিছু করব না যাতে তাদের মন খারাপ হয়। পবিত্র কুরানে আল্লাহ আদেশ দিয়েছেন, “মা-বাবার সাথে ভালো ব্যবহার করো। তাদেরকে ধমক দিবে না। তাদের সাথে ভদ্রভাবে কথা বলো।” সূরা বনি ইসরাইল: ২৩-২৪

মা-বাবাও মানুষ। তারাও মাঝে মাঝে ভুল, অন্যায় করতে পারেন। তখনও তাদের ভদ্রভাবে বুঝাতে হবে। মা-বাবা সন্তানকে কখনও কষ্ট দিলেও মা-বাবাকে কষ্ট দেয়া যাবে না। মহানবী (সা.) বলেন, “মা-বাবা সন্তানদের সাথে খারাপ ব্যবহার করলেও মা-বাবার সাথে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না । বরং তাদেরকে সেবা করতে হবে। মা-বাবা বৃদ্ধ হলে তাদের যত্ন নেয়া উচিৎ। কখনোই বিরক্ত হওয়া উচিৎ না। আল্লাহ কুরানের সূরা বনি ইসরাইলে বলেন যে মা বাবাকে কখনো উহ্ ও বলবে না? [সূরা ইসরা: ২৩] মা-বাবা মারা গেলে সন্তানদের কর্তব্য তাদের জন্য সর্বদা দোয়া করা। “আল্লাহ, তাদের প্রতি দয়া করুন, যেমন ভাবে আমার ছোট বেলায় তারা আমাকে দয়া করেছেন ।” [সূরা বনি ইসরাইল:২৪] দুনিয়া ও আখেরাতের কামিয়াবী বাবা মার সন্তুষ্টির ওপর নির্ভর করে। তাই সন্তানের জন্য কোনভাবেই মা বাবা তুষ্টির বিপরীতে কিছু করা উচিত নয়।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়