ডেস্ক রিপোর্ট : ফ্রান্সের নিরামিষভোজীদের হামলার আতঙ্কে সরকারের কাছে নিরাপত্তা চেয়েছেন কসাইরা। তারা দাবি করছেন, ফ্রান্সের মাংসভোজী সংস্কৃতি ধ্বংস করতে চায় ওই উগ্র নিরামিষভোজীরা।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি অনলাইন জানিয়েছে, কসাইদের মাংসের দোকানে মাংসবিরোধী চিকা এবং স্টিকার লাগানো হয়েছে, পাথর ছোঁড়া হয়েছে। গত কয়েক মাসে ১৫টি কসাইখানা নকল রক্ত ছুঁড়ে নষ্ট করা হয়েছে, জানিয়েছে ফ্রেঞ্চ ফেডারেশন অব বুচারস বা কসাই সমিতি। এসব হামলা থেকে নিরাপত্তা পাওয়ার জন্য সরকার বরাবর চিঠি দিয়েছেন তারা।
নিরামিষভোজীদের হামলাকে সন্ত্রাস দাবি করে ওই চিঠিতে ফেডারেশনের প্রধান জাঁ-ফ্রাঁসোয়া গিহার্ড লেখেন, ‘এসব লোকেরা সন্ত্রাসের বীজ বপনের চেষ্টা করছে, ফরাসী সংস্কৃতির একটি বড় অংশ উধাও করে দিতে চাইছে।’
ফরাসীদের মাঝে খুব অল্পসংখ্যাক মানুষ নিরামিষভোজী। ২০১৬ সালের এক জরিপে দেখা যায়, সে দেশের মাত্র ৩ শতাংশ মানুষ ভেজিটেরিয়ান।
গিহার্ড দাবি করেন, নিরামিষভোজীদের জীবনযাপন মিডিয়াতে অতিরঞ্জিত করে প্রকাশ করা হয় এবং এ নিয়ে মাতামাতি হয় অতিরিক্ত। কসাইদের হয়রানির করার এমন ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। বিবিসির ফরাসী প্রতিবেদক লুসি উইলিয়ামস জানান, অনেকদিন ধরেই এমনটা হয়ে আসছে।
বিশ বছর আগে এক কসাইখানার তালায় আঠা আটকে দেওয়া হয়েছিল, জানান এক কসাই।
সাম্প্রতিক সময়ে মাংসের বিক্রি কমে যাওয়ায় প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁখোর দ্বারস্থ হন খামার মালিকরা। তারা নিরামিষভোজীদের জন্য তৈরি বিশেষ স্টেক, ফিলে, বেকন এবং সসেজের বিরোধিতা করেন।
কিছুদিন আগে ফ্রান্সের স্কুলগুলোতে সপ্তাহে একদিন নিরামিষ খাবার দেওয়ার এক পরিকল্পনা সংসদে নাকচ হয়ে যায়।
এ বছরের মার্চে ফেসবুকে আপত্তিকর এক পোস্ট দেওয়ার কারণে কারাদণ্ড পান এক নিরামিষভোজী কর্মী। ইসলামি জঙ্গির হাতে এক কসাই খুন হবার পর তিনি লিখেছিলেন, ‘তার উচিৎ শিক্ষা হয়েছে’।
সূত্র : প্রিয় ডট কম
আপনার মতামত লিখুন :