শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২৮ জুন, ২০১৮, ০৩:১৯ রাত
আপডেট : ২৮ জুন, ২০১৮, ০৩:১৯ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

ইসি দলের বিকাশকে রুদ্ধ করার ভূমিকা পালন করছে : এম সাখাওয়াত

রফিক আহমেদ : সাবেক নির্বাচন কমিশনার অব. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, নির্বাচন কমিশন নতুন রাজনৈতিক চিন্তা ও দলের বিকাশকে রুদ্ধ করার ভূমিকা পালন করছে। বুধবার গণসংহতি আন্দোলনের উদ্যোগে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন প্রক্রিয়া, নির্বাচন ও সাংবিধানিক গণতান্ত্রিক অধিকার শীর্ষক একটি গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন।

এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, রাজনৈতিক দল নিবন্ধনের আইন যে কারণে করা হয়েছে, বর্তমানে তার বিপরীতে একে নতুন রাজনৈতিক চিন্তা ও দল নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে। বর্তমান আমলে এর শর্তগুলোকে এতগুণ কঠিন করা হয়েছে যে, এর লক্ষ নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। যেমন ভোটার সমর্থক থাকার কথা পুরনো আইনে ছিল না, লক্ষ্য ছিল কর্মী সমর্থকের প্রমাণ হাজির করা।

তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সংখক জেলায় কার্যালয় রাখার কথা ছিল না। নির্বাচন কমিশন কেন স্বেচ্চাচারিতার ভিত্তিতে যখন খুশি তখন নিবন্ধনের জন্য আহবান করবে, তার যৌক্তিকতা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। এই উদ্দেশ্যেই আমাদের সময়ে নির্বাচন কমিশনের জনবল বৃদ্ধি করা হয়েছি। নির্বাচন কমিশনের নৈতিক দায়িত্ব রাজনৈতিক দলগুলোর অভিভাবক হিসেবে কাজ করা, সাহায্য করা।

বিশিষ্ট লেখক ও বুদ্ধিজীবী সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, নির্বাচন কমিশন হয়তো দলবিহীন গণতন্ত্র চাইছে বলে নতুন কোন রাজনৈতিক দলকে আর নিবন্ধন দিচ্ছে না। তিনি বলেন, অধিকাংশ নিবন্ধিত দলের চাইতে গণসংহতি আন্দোলন সহ আরও কয়েকটি সক্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত রাজনতৈকি দলকে তারা নিবন্ধন দিচ্ছে না। অথচ প্রতিদিন এই দলগুলো নানান কর্মসূচিতে আছে। নির্বাচন কমিশন আসলে একটা আতঙ্কে আছে, কেননা এদের জনমুখী রাজনীতি বিকশিত হলে অগণতান্ত্রিক শাসন প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, সক্রিয় ও প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন না দেয়ার নির্বাচন কমিশনের অভিসন্ধি নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, পুলিশ যেমন বলছে বন্দুক যুদ্ধ, তেমনি নির্বাচন কমিশন বলছেন শর্ত পূরণ করেনি। আমরা শুধুমাত্র কোন একটি দল নিবন্ধন পেল বা পেল না, তার মধ্যেই আলাপটাকে সীমিত রাখতে চাই না। আমরা বরং চাইছি এই সকল নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে কিভাবে জনগণকে ক্ষমতাহীন করা হচ্ছে, সরকারকে স্বেচ্ছাচারী ক্ষমতা দেয়া হয়েছে, সেটা তুলে ধরতে।

প্রবীন রাজনীতিবিদ, ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য বলেন, নিবন্ধন ছাড়াই জেল খাটলাম, মামলার শিকার হলাম, মুক্তিযুদ্ধ করলাম... আজকে নিবন্ধন দিয়ে আমাদের খেলো করা হচ্ছে।

বদিউল আলম মজুমদার রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন ব্যবস্থা সংস্কারের দাবি করে বলেন, নিবন্ধনের আইনটি করা হয়েছিল নামসর্বস্ব কর্মসূচিহীন দল যেন নির্বাচনে ব্যবহৃত না হয়।

মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ভোট মানুষ দেবে কি না সেটা ভোটারদের প্রশ্ন। নির্বাচনে দাঁড়ানো রুদ্ধ করার এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনকে কে দিল? ১% ভোটার সমর্থকের স্বাক্ষর লাগার যে আইন করেছেন, রাতের বেলা সেই ভোটারের বাড়িতে যে পুলিশ বা মাস্তানরা ভয় দেখাবে না, তার নিশ্চয়তা কে দেবে?

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী সমন্বয়কারী আবুল হাসান রুবেল, সভা পরিচালনা করেন কেন্দ্রীয় রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য তাসলিমা আখ্তার। আলোচনা আরও অংশ নেন- প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও ঐক্য ন্যাপের সভাপতি পঙ্কজ ভট্টাচার্য, সুশাসনরে জন্য নাগরিক (সুজন) এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ইতিহাসবিদ আহমেদ কামাল, গণতান্ত্রিক বাম মোর্চার সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ-মার্কসবাদী’র) কেন্দ্রীয় নেতা শুভ্রাংশু চক্রবর্তী, বাসদ এর সাধারণ সম্পাদক কমরেড খালেকুজ্জামান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহ আলম, আইনজীবী ও মানবাধিকার কর্মী ব্যরিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ূয়া প্রমুখ।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়