স্পোর্টস ডেস্ক: মস্কোর স্পার্তাক স্টেডিয়ামে বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ‘ই’ গ্রুপে নিজেদের শেষ ম্যাচে সার্বিয়ার মুখোমুখি হবে বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। এর আগের দিন সংবাদ সম্মেলনে নেইমার ও নিজের আবেগাক্রান্ত হয়ে চোখের পানি ধরে রাখতে না পারা নিয়ে কথা বলেন তিতে।
“আমরা অবশ্যই মনে করি না, একটি আবেগের মুহূর্ত মানসিক দিক থেকে ভারসাম্যহীনতার প্রকাশ। আমি বুঝি যুক্তি এবং আবেগের মধ্যে একটা ভারসাম্য থাকতে হবে এবং এ রকম মুহূর্ত আসে যখন আপনার ঠাণ্ডা, শান্ত এবং স্পষ্ট থাকা প্রয়োজন।”
দুই বছর আগে ব্রাজিল কোচ হিসেব নিজের প্রথম ম্যাচে একুয়েডরকে ৩-০ গোলে হারানোর পর আবেগের অশ্রু ধরে রাখতে না পারার কথাও জানান তিতে।
“আমি পুরো ব্রাজিলিয়ান জাতিকে বলতে চাই…আমিও কেঁদেছিলাম। যখন আমি আমার স্ত্রীকে ফোন করলাম আমি খুশিতে, তৃপ্তিতে কেঁদেছিলাম। কেননা আমার স্বভাব আবেগী হওয়া। যেহেতু আমরা একটা ভালো ম্যাচ খেলার জন্য খুব চাপে ছিলাম, সেহেতু আমি গর্বে কেঁদেছিলাম।”
চোটের কারণে তিন মাস মাঠের বাইরে থাকার পর ফিরেছেন নেইমার। অনেকের মতো তিতেরও আশা তারকা ফরোয়ার্ডের হাত ধরে ব্রাজিল জিতবে বিশ্বকাপের ষষ্ঠ শিরোপা। তবে নেইমারের পুরো ফিটনেস ফিরে পেতে আরও একটা ম্যাচ খেলা প্রয়োজন বলে মনে করেন কোচ।
“সে সেরে ওঠার পর্যায়ে আছে। সাধারণের তুলনায় তার শারীরিক অবস্থা অসাধারণ। তা না হলে, এ মুহূর্তে সে যে অবস্থায় আছে, সে অবস্থায় থাকতে পারত না। আমি এখানে কাউকে রক্ষা করতে আসিনি। যেমন, ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষের যখন সে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল, খুব ভালো খেলেছিল। শান্ত থাকার বিষয়টা সে বাকি সবার মধ্যে ছড়িয়ে দিয়েছিল।”
“আমরা নেইমারের কাঁধে সাফল্য বা ব্যর্থতার জন্য দায়িত্বের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছি না। পুরো দলই জেতে বা হারে।”
আপনার মতামত লিখুন :