রিয়াজ হোসেনঃ ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে পরিচালিত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে জাতীয় পর্যায়ে ৩৬ জন বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
বুধবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয় -২০১৭ এর পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের হাতে মন্ত্রী পুরস্কার তুলে দেন।
এসময় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিএনপি ইসলাম রক্ষার কথা বলে ক্ষমতায় ২১ বছর ছিল অথচ একটা মাদ্রাসারও উন্নয়ন হয় নাই আওয়ামী লীগ গত ৯ বছরে ২০০০ নতুন মাদ্রাসা ভবন তৈরি করেছি এবং আরো ৩০০০ নতুন মাদ্রাসা ভবন নির্মানের পরিকল্পাা রয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, মাদ্রাসা শিক্ষক ও স্কুল কলেজের শিক্ষকদের মধ্যে বেতনের পার্থক্য ছিল, মর্যাদার পার্থক্য ছিল আমরা সেটাকে সমমর্যাদা করে দিয়েছি। মাদ্রাসা শিক্ষাকে আধুনিকায়ন করেছি ফলে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার হচ্ছে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, শিক্ষার মূল লক্ষ্য হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে আধুনিক বাংলাদেশের নির্মাতা হিসেবে গড়ে তোলা। এজন্য নতুন প্রজন্মকে যোগ্য ও দক্ষ করে তুলতে হবে। এখন শিক্ষা মানে দক্ষতা, প্রযুক্তি ও মানসম্মত শিক্ষা। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দিয়েছি। এটি সারা পৃথিবীতে একটি অতুলনীয় উদাহরণ। ফলে দরিদ্র পরিবারের ছেলে-মেয়েরা পড়ালেখায় উৎসাহিত হচ্ছে। গরিব শিক্ষার্থীদের সমর্থন দিতে বৃত্তি-উপবৃত্তি দেয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান বলেন, ইসলাম যত দ্রুত জ্ঞানীগুণী ব্যাক্তি সৃষ্টি করেছেন এত কম সময়ের মধ্যে অন্য কোন ধর্ম বা প্রতিষ্ঠান তা তৈরি করতে পারে নাই। অথচ কিছু লোক ইসলামের ভুল ব্যাখ্যা দিয়ে মানুষকে ভুল পথে করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নিয়েছে কওমি মাদ্রাসার ছাত্রদের মুল ধারায় আনার তারাও যেন মেইন স্ট্রিম মাদ্রাসার মত লেখাপড়া করতে পারে ।
এসময় ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আহসান উল্লাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট মীর শওকত আলী এমপি, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলমগীর।
উল্লেখ্য ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিনে পরিচালিত ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ১২ জুলাই, অারবি বিশ্ববিদ্যালয় জাতীয় প্রতিযোগিতা ২০১৭ শুরু হয়। প্রতিযোগিতায় জেলা পর্যায়ে ১৫৩৩ জন, বিভাগীয় পর্যায়ে ৩৯৬ জন, জাতীয় পর্যায়ে ৮৪ জন অংশ গ্রহন করে। প্রতিযোগিতায় ৩৬ জন বিজয়ী হন।
আপনার মতামত লিখুন :