মে. জে. (অব.) মোহাম্মদ আলী শিকদার : যে বাস গুলো রাস্তায় নামে তাদের ড্রাইভারেরা যেভাবে বাস চালায়, তাতে মনে হয না আমাদের একটা লাইফ আছে। আমার মনে হয় না, রাস্তার অধিকাংশ বাসগুলোর ফিটনেস আছে। এই সমস্ত বাসগুলো রাস্তায় থাকলে নানা ধরনের দূর্ঘটনা হয়। আর এই ধরনের গাড়ি রাস্তায় কখন থাকে? পৃথিবীতে সভ্য দেশের কেউ ট্রাফিক আইনের ্উর্ধে নয়। সহ¯্রাধিক বাইক আছে যারা ট্রাফিক আইন মানে না তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া জরুরী। যেটা ভিভিআ্্ইপি মটরগেট সেটা আলাদা বিষয়। কিন্তু সাধারণভাবে যারা রাস্তায় চলাচল করে তারা কেউ ট্রাফিক আইনের ঊর্ধে নয়।
কিন্তু এখানে তারা ট্রাফিক আইন মানছে না। আর পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে ইনফোর্স করতে পারছে না। বর্তমানে ঢাকা শহরে শতশত মটর সাইকেল চলছে, এগুলোর বেশির ভাগই ট্রাফিক আইন মানছে না। এদের কে শক্তভাবে যদি দমন না করা যায়, তাহলে এরকম দূর্ঘটনা অহরহ ঘটতেই থাকবে। অনেক সময় পুলিশ থেকে বলা হয়, তাদের পর্যাপ্ত জনবল নেই, এই বিষয়ে আমি একমত নই। তারা যদি নৈতিকতার সাথে অঙ্গিকার নিয়ে দায়িত্ব পালন করে, তাহলে সবাই আইন মেনে চলতে বাধ্য হবে। ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে যে অনৈতিক অভিযোগ উঠে, কোথাও কোথাও ক্ষমতাবানদের ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠে, সেখান থেকে তাদের সরে আসতে হবে। এটা থেকে যদি তারা সরে আসে এবং সবার জন্য আইন সমান হয় এবং কঠোরভাবে দায়িত্ব পালন যদি করে, তাহলে দূর্ঘটনা বহুলাংশে কমে যাবে বলে আমি মনে করি।
পরিচিতি : নিরাপত্তা বিশ্লেষক/ মতামত গ্রহন : মো. এনামুল হক এনা/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :