খোকন আহম্মেদ হীরা, বরিশাল: বেতন-ভাতার দাবিতে কর্মবিরতী, বিক্ষোভ সমাবেশ ও অবস্থান কর্মসূচীর পর এবার আমরন অনশনে যাবার ঘোষনা দিয়েছেন বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারীরা।
বিক্ষুব্ধ কর্মচারীরা হাসপাতালের পরিচালককে আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে নিয়োগপ্রাপ্ত ২১২ কর্মচারীর প্রাপ্ত বেতন-ভাতা প্রদানের আল্টিমেটাম দিয়েছেন। আগামী ১ জুলাইয়ের মধ্যে কর্মচারীদের বেতন-ভাতা না দিলে তারা আমরণ অনশনে যাবার ঘোষণা দিয়েছে। এরপূর্বে কর্মচারীরা সোমবার দুপুরে হাসপাতালের পরিচালকের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। শেবাচিম হাসপাতালের কর্মচারীদের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ সরকারী চতুর্থ কর্মচারী সমিতির বরিশাল জেলা শাখার নেতৃবৃন্দরা।
বিক্ষুব্ধরা জানান, ২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর শেবাচিমের তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেনীর বিভিন্ন পদে ২১২ জন কর্মচারী যোগদান করেন। ২০১৬ সালের ১৮ জানুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্মচারীদের কার্যক্রম স্থাগিত রাখার নির্দেশ প্রদান করলে কর্মচারীরা উচ্চাদালতের রীট মামলা দাখিল করেন। ওই বছরের ২২ আগস্ট উচ্চ আদালত কর্মচারীদের পক্ষে রায় প্রদান করলে ওই রায়ের বিরুদ্ধে সরকার সুপ্রীম কোর্টে আপীল করে এবং আদালত আপীলটি খারিজ করে দেয়। পরবর্তীতে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারী ওই রায়টি বাস্তবায়নের জন্য হাসপাতালের পরিচালককে নির্দেশ দেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ও অধিদপ্তরের ডিজি। আদেশটি পেয়ে পরিচালক ২৪ ফেব্রুয়ারী কর্মচারীদের বিভিন্ন দপ্তরে কার্যাদেশ প্রদান করেন।
সূত্রমতে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজি গত ৪ এপ্রিল শেবাচিমের পরিচালককে যোগদানকৃত কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা পরিশোধের নির্দেশ দেন। কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের সকল প্রক্রিয়া শেষ হয়ে গেলেও রহস্যজনক কারনে অদ্যবর্ধি বেতন-ভাতা প্রদান করা হয়নি। কাজে যোগদানের পরেও বেতন ভাতা বন্ধ থাকায় ২১২ কর্মচারী পরিবার পরিজন নিয়ে চরম মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
এ ব্যাপারে শেবাচিমের পরিচালক ডা. মো. বাকির হোসেন বলেন, কর্মচারীদের বেতন ভাতা প্রদানের জন্য মতামত চেয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ওই চিঠির জবাব পেলেই পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :