স্পোর্টস ডেস্ক : রাশিয়া বিশ্বকাপে খেলছে ৩২টি দেশ। তবে এদের মধ্যে নেই প্রিয় বাংলাদেশ। তাই বলে এমন মহাযজ্ঞে থাকবে না লাল-সবুজের উপস্থিতি! এটা মেনে নেয়া যায়? সহজ উত্তর- যায় না।
এই আসরে খেলা উপভোগ করতে এসেছে পুরো পৃথিবীর ফুটবল প্রেমীরা। নিজের দেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করানোর এমন মঞ্চ আর পাওয়া যাবে না। তাই রাশিয়া বিশ্বকাপের মাঠে এবং মাঠের বাইরে বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়েছে অনেক বাংলাদেশি নাগরিক। তাদের অনেকেই কেবল বিশ্বকাপ উপলক্ষে এসেছেন রাশিয়ায়। আবার অনেকেই থাকেন রাশিয়ায়।
‘ওখানেই ডটকমে’র প্রধান নির্বাহী রাহিতুল ইসলাম বিশ্বকাপের খেলা উপভোগ করতে রাশিয়ায় এসেছেন। ঘুরছেন সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের পতাকা। ব্রাজিল-কোস্টারিকার ম্যাচ দেখেছেন মাঠে বসে। কথা প্রসঙ্গে জানালেন, যেসব দেশ বিশ্বকাপে খেলছে না তারাও মাঠে নিজের দেশের পতাকা উড়াচ্ছে। তাদের বিশ্বাস, একদিন বিশ্বকাপ খেলবে তাদের স্বদেশ। তা ছাড়াও নিজের দেশকে বিশ্ব দরবারে ব্র্যান্ডিং করতে এটার চাইতে ভালো সুযোগ আর হতে পারে না। ঠিক আমিও একই কাজ করছি, নিজের দেশকে পরিচয় করিয়ে দিতে।
তিনি বলেন, সব দেশের পতাকার সঙ্গে আমাদের বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে ভালো বোধ করেছি। অনেকে জিজ্ঞাসা করেছে- এটা কোনো দেশের পতাকা? তখন গর্বের সঙ্গে বাংলাদেশকে পরিচয় করিয়ে দিয়েছি। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ একদিন ফুটবল বিশ্বকাপ খেলবে। সারা বিশ্ব বাংলাদেশকে নিয়ে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠবে।
রাশান স্টেট সোশ্যাল ইউনিভার্সিটির ইন্টারন্যাশনাল বিজনেসের ছাত্র শাহাদাত হোসেন পর্তুগাল-মরোক্কো ম্যাচ দেখেছেন মাঠে বসে। উড়িয়েছেন বাংলাদেশের পতাকা। তিনি জানালেন, আগের বিশ্বকাপ দেখেছি টেলিভিশনে। তখন থেকেই স্বপ্ন দেখেছি, আমি কখনো খেলা দেখার সুযোগ পেলে দেশের পতাকা টানাব মাঠে। আমি খুশি, এটা পেরেছি। অনেকেই আমার পতাকা নিয়ে ছবি তুলেছে। বলেছে, বাংলাদেশের পতাকা অনেক সুন্দর।
মস্কো এভিয়েশন ইনস্টিটিউটের কন্ট্রোল সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্র আতিকুল ইসলাম রিগান সোচির মাঠে বেলজিয়াম-পানামার খেলা দেখেছেন বাংলাদেশের পতাকা হাতে। তিনি জানান, আমার দেশ বিশ্বকাপে খেলে না। দেশকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত করাতেই এই উদ্যোগ। এই কথার সঙ্গে সুর মেলালেন একই প্রতিষ্ঠানের ছাত্র আকিকুল ইসলাম লিয়ন।
মস্কোর গণমৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইটির ছাত্র ফয়সাল আলম ও নিলয় বসাকের সঙ্গে কথা লুজনিকি স্টেডিয়ামের সামনে। মাঠের বাইরের আমেজ উপভোগ করতে এসেছেন এই দুই বন্ধু। হাতে বাংলাদেশের পতাকা। তিনি জানান, বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে আমরা গর্বিত পতাকাকে গর্বের সঙ্গে গায়ে জড়িয়ে ঘুরছি। অনেক দেশের মানুষ তাদের সঙ্গে ছবি তুলেছেন। পুরো বিশ্বকাপের সময়টাতেই বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে ঘুরবেন তারা। এই আসরে না খেলেও বাংলাদেশ থাকুক- এটাই তাদের প্রত্যাশা। সূত্র : ভোরের কাগজ
আপনার মতামত লিখুন :