ইফ্ফাত আরা: জরুরি অবস্থার সময় রেডিও, টেলিভিশন ও প্রিন্ট মিডিয়া তথা গণমাধ্যমকে দমিয়ে রেখেছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। গুজব প্রচলিত আছে ইন্দিরা গান্ধীর ছেলে সঞ্জয় গান্ধী তার মায়ের আদেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেন। এর ফলে জরুরী অবস্থায় পুরো সময়জুড়ে বাকরুদ্ধ থাকে গণমাধ্যম।
নানান উপায়ে ২৫ জুন, ১৯৭৫ সালে ভারতীয় গণমাধ্যমের নতুন পথচলা শুরু হয়েছিলো। প্রিন্ট মিডিয়া, রেডিও এবং টেলিভিশনসহ গণমাধ্যমগুলোতে জরুরি সেন্সর দেয়া ছিলো। সে সময় গণমাধ্যমের নিরবতা দেখে মুখ খুলেছিলো বিজেপির রাজনীতিবিদ এলকে আদভানি। তিনি বলেন, ‘যখন ইন্দিরা গান্ধী গণমাধ্যমকে চাপ দিতো, তারাও দমে যেতো।’ জরুরি অবস্থায় প্রয়োগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করার জন্য দিল্লিভিত্তিক সংবাদপত্রগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়া হয়েছিলো। তখন শুধুমাত্র দ্য হিন্দুস্তান টাইমস এবং দ্য স্টেটসম্যান নামক পত্রিকা ছাড়া কোনো পত্রিকাই পরবর্তী সংস্করণ প্রকাশ করতে পারেনি। তাদের ২৮ শে জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছিলো।
এছাড়াও সে সময় এক লাখের মতো মানুষের জেল হয়েছিলো এর মধ্যে ১০ হাজার সাংবাদিক ছিলেন। অধিকাংশ ম্যাগাজিন এবং জার্নাল একসাথে সেন্সর ও ব্যান করে দেয়া হয়েছিলো। ওয়াশিংটন পোস্ট, লস এঞ্জেলস টাইমস, ডেইলি টেলিগ্রাফের মতো বৈদেশিক পত্রিকাগুলো বহিষ্কার করে যখন বিবিসি থেকে তাদের প্রতিবেদক মার্ক টুলিকে পুনরায় ডাকে। এছাড়া দ্য ইকোনোমিস্ট, দ্য গার্ডিয়ানের মতো পত্রিকাগুলোও নিরাপত্তায় ভয়ে চুপ ছিলো। ইয়ন নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :