আহমেদ জাফর: আগামী সপ্তাহে ঘোষিত হতে পারে ছাত্রলীগের কমিটি। গত ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সম্মেলনের প্রায় দেড় মাসেও কমিটি ঘোষিত হয়নি।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সিদ্ধান্ত হয় কমিটি হবে ভোটে নয় বরং সমোঝতার মাধ্যমে সিলেকশনে। প্রতিটি পদপ্রার্থী সম্পর্কে তথ্য যাচাই বাচাই করে কমিটি ঘোষণা করবেন দলের সভাপতি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আগামী সপ্তাহে ছাত্রলীগের নতুন কমিটি ঘোষিত হবে। যারা কমিটিতে আসতে পারে সেব সদস্যেদের তথ্য যাচাই বাচাই শেষ হয়েছে। কমিটির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সময় করে চলতি মাসের শেষের দিকে কমিটি ষোষণা করবেন। মেধাবিও যোগ্যব্যক্তি, আওয়ামী পরিবারের সন্তনের হাতে ছাত্রলীগের নতুন নেতৃত্ব তুলে দিবেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দোলায়ার হোসেন বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি আরো আগেই ঘোষনা দিতেন প্রধানমন্ত্রী কিন্তু তিনি খুবই ব্যস্ত ছিলেন বাজেট নিয়ে এবং দেশের বাহিরে গিয়েছিলেন। আগামী সপ্তাহে কমিটি দেয়া হতে পারে।
তাছাড়া ছাত্রলীগে ছাত্রদল, ছাত্রশিবির,অনুপ্রবেশের অভিযোগ আছে এনিয়ে তথ্য যাচাই বাচাই করার জন্য আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলী সদস্য,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, সাংগঠনিক সম্পাদকসহ বেশ কয়েক জনকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এ নিয়ে তারা নিরলসভাব বিষয়টি পর্যবেক্ষন করছে। প্রধানমন্ত্রী যে কোনো দিন কমিটি ঘোষণা করেবন।
ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী আল নাহিআল খান জয় বলেন, আমরা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী দিকে তাকিয়ে আছি। দলের সভাপতি হিসেবে তিনি, যখন ভাল মনে করবেন তখন কমিটি ঘোষণা করবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশের জন্য এবং দেশের মানুষের ভাগ্য পরির্বতনের জন্য নিরলসভাবে কাজ যাচ্ছে। সামনের নির্বাচনে স্বাধীতার স্বপক্ষের শক্তি শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। সেই কথা মাথায় রেখে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করি।
ছাত্রলীগের কমিটির শীর্ষ দুই পদে আবেদন করেছে প্রায় ৩২৩ জন এর মধ্যে সভাপতি পদে ১১১জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ২১২জন। আবার এদের মধ্যে অর্ধেক বয়েসের কারণে বাদ পরেছেন। আর শীর্ষ দুই পদে যারাই আলোচনায় আসে, তাদের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওঠে নানা অভিযোগ।
আপনার মতামত লিখুন :