আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: বিশ্বের পরমাণু শক্তিধর দেশ ইসরায়েল। ফিলিস্তিনের ভূমিকে দখল করে গড়ে ওঠা দেশটি গাজাসহ ফিলিস্তিনে খেয়াল খুশিমত অভিযান পরিচালনা করে। দখলদার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের বড় কোনও অস্ত্র না থাকায় তারা ঘুড়ির লেজে আগুন ধরিয়ে ইসরায়েলের দিকে উড়ে যায়। আর সেই আগুনে এরই মধ্যে ইসরায়েলের বেশ ক্ষতি সাধিত হয়েছে। ইসরাইলের বিচারমন্ত্রী এইলেত শাকেদ বলেন, ঘুড়ি উড়ানো বন্ধ না হলে গাজায় নতুন যুদ্ধ শুরু করা হবে।
তিনি আরও বলেছেন, যারা ইসরাইলি ভূখণ্ডের দিকে ঘুড়ি পাঠাচ্ছে তাদের ওপর হামলা চালাতে হবে। তাদের অপরাধকে রকেট নিক্ষেপের মতো অপরাধ হিসেবে গণ্য করতে হবে। ঘুড়ি উড়ালেই ফিলিস্তিনিদের লক্ষ্য করে হামলা চালানোর আহ্বান জানান তিনি। ইহুদিবাদী বিচারমন্ত্রী উল্টো অভিযোগ করে বলেন, হামাস যদি উত্তেজনা বাড়ানোর নীতি অব্যাহত রাখে তাহলে সেনাবাহিনী গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধ শুরু করবে।
ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মুখপাত্র সামি আবু যুহরি গতকাল বলেছেন, গাজায় ইসরাইলি অবরোধের প্রতিবাদ জানাতেই গাজার বাসিন্দারা ঘুড়ি উড়াচ্ছে। গাজার ওপর থেকে অবরোধ প্রত্যাহার করা হলেই কেবল ঘুড়ি থামবে।
উল্লেখ্য, গাজার নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিরা নিজ ভূমিতে প্রত্যাবর্তনের অধিকারের দাবিতে গত ৩০ মার্চ থেকে বিক্ষোভ করে আসছেন। বিক্ষোভের সময় গাজাবাসীরা ঘুড়ি ও হিলিয়াম বেলুন উড়িয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। তারা ঘুড়ির লম্বা লেজে আগুন লাগিয়ে সেগুলো উড়িয়ে দিচ্ছেন। আবার কখনো কখনো বেলুনের নিচে মলোটোভ ককটেল ঝুলিয়ে দিচ্ছেন। আর এসব ঘুড়ি ও বেলুন কখনো কখনো সীমান্ত দেয়ালের ওপারে ইসরাইল অধিকৃত এলাকায় গিয়ে পড়ছে।এতে কোনো কোন স্থানে আগুন ধরে যাচ্ছে।
গত ৩০ জুন থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে ইসরাইলি হামলায় এ পর্যন্ত ১২০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৩ হাজার ফিলিস্তিনি। - পার্সটুডে
আপনার মতামত লিখুন :