ডেস্ক রিপোর্ট: প্রশাসনের শীর্ষ পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ কিছু রদবদল আনা হচ্ছে। এ সপ্তাহের মধ্যে এ রদবদলের সম্ভাবনা রয়েছে। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল সূত্রের মতে, এবারের রদবদল প্রক্রিয়ায় আগামী জাতীয় নির্বাচনকে গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হচ্ছে। জেলা ও মাঠ প্রশাসনেও নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগেই এক দফা বড় রদবদল করা হবে। আবার নির্বাচন কমিশনের চাহিদা মতে যাতে কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া যায়, সে রকম একাধিক বিকল্প তালিকাও করে রাখা হচ্ছে।
জানা গেছে, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের পদে পরিবর্তন আসছে- তা প্রায় নিশ্চিত। বর্তমান সরকারের দুই আমলে দুটি জেলার প্রশাসন সামলেছেন এমন একজন কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্বে আনা হচ্ছে। যদিও তিনি বর্তমান সচিবদের তুলনায় কনিষ্ঠ ব্যাচের। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বর্তমান সিনিয়র সচিবকে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নেয়া হতে পারে। বর্তমানে তিনিই সর্বাপেক্ষা জ্যেষ্ঠ সচিব। তাকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের দায়িত্ব দেওয়ার কথাও আলোচনায় রয়েছে। তবে এমন সম্ভাবনা ক্ষীণ। কারণ মন্ত্রিপরিষদ সচিব পদের পরিবর্তন নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গুঞ্জন চললেও সেটাকে নীতিনির্ধারকরা বাতিল করে দিয়েছেন।
সূত্র জানায়, দেশের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের একটি বিভাগের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত সচিবকে ভারপ্রাপ্ত সচিব করা হচ্ছে। তিনি দুটি জেলার জেলা প্রশাসকও ছিলেন। এ ছাড়া মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একজন অতিরিক্ত সচিব ও বর্তমান সরকারের আমলের দুটি জেলার জেলা প্রশাসকের দায়িত্বপালনকারী কর্মকর্তাকেও ভারপ্রাপ্ত সচিব করা হচ্ছে। আগামী আগস্টের মধ্যে অন্তত ১২ জন কর্মকর্তাকে সচিব নিযুক্ত করা হবে। সে ধাক্কায় প্রশাসনে এ সরকারের আমলে সর্বশেষ রদবদলটি করা হবে।
সূত্র আরো জানায়, অন্তত ১২ জন জেলা প্রশাসক এবং শতাধিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রত্যাহার করে সেখানে নতুন কর্মকর্তা নিয়োগের প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করা হয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিবের পদের ফয়সালা হলেই মাঠ প্রশাসনে হাত দেওয়া হবে। যেসব ইউএনও এবং এসিল্যান্ডকে বদলি করেও তা কার্যকর করা যায়নি তাদের আগস্টের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে যোগদানের সুযোগ দেওয়া হতে পারে। না হলে তাত্ক্ষণিক অবমুুক্তির আদেশ কার্যকর করা হবে।
কিছু ইউএনও’র বিরুদ্ধে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে মাঠ প্রশাসনে অসদাচরণের অভিযোগ এসেছে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো থেকে। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, অভিযোগগুলো গুরুতর। কিন্তু কিছু মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী কিংবা এমপির ছায়াতলে থাকায় এখনি তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। অক্টোবরে মন্ত্রিপরিষদের আকার ছোট হলে তখন ব্যবস্থা নেয়া হবে। সূত্র: ইত্তেফাক
আপনার মতামত লিখুন :