সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম: শিক্ষা খাতে এখন যে বাজেট বরাদ্দ থাকে তা অপ্রতুল। এ খাতে বাজেট বরাদ্দ বাড়াতে হবে। যদিও শিক্ষা খাতের বাজেট চিন্তা নয়, বিনিয়োগে বিশ্বাস করি। শিক্ষাখাতে বাজেট চিন্তা থেকে বেরিয়ে এসে বিনিয়োগ চিন্তা করতে হবে, বিনিয়োগ বাড়াতে হবে এ খাতে, তা না হলে চলবে না। আমাদের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা বাড়াতে হবে। আমরা যদি মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের আকৃষ্ট করতে না পারি শিক্ষায়-শিক্ষকতায়, তাহলে শিক্ষাদান সব সময় ব্যহত হবে।
ভালো শিক্ষক ছাড়া ভালো শিক্ষা দান সম্ভব নয়। দেখা যায় ভালো শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পাগল হয়ে থাকে, ভালো শিক্ষক পাওয়ার জন্যও এমন একটা অবস্থান তৈরি করা উচিত যেখানে শিক্ষক হওয়ার জন্য শিক্ষার্থীরা পাগল হয়ে থাকবে। প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষাকতাকে এক নম্বরে আনা চাই। এমন একটা অবস্থা তৈরি করতে হবে যেন, একঝাক মেধাবী প্রজন্ম নিয়ে শুরু করা যায় প্রাথমিকের ভালোর শুরুটা।
শিক্ষা খাতে অনেক ভালো কাজও করেছে সরকার, তা প্রশংসা করি আমরা। শিক্ষার্থীদের জন্য ইতোমধ্যেই ‘মিড ডে মিল’-এর ব্যবস্থা করেছে সরকার। এতে শিক্ষার্থি ঝরে পড়ার সংখ্যা কমে যাবে। পাশাপাশি উপবৃত্তি ব্যবস্থা রয়েছে। প্রতিটি জেলায় কারিগরি স্কুল এবং কলেজ করার চেষ্টা করা হচ্ছে, এটাও ভালো উদ্যোগ। কারণ কারিগরি শিক্ষা, দক্ষতা নিয়ে মানুষ নিজেই চাকরি খোঁজে নিতে পারবে। তাতে মানুষের দক্ষতা বাড়বে। দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি হবে। মুখস্ত নির্ভর পরীক্ষা দিয়ে দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা যাবে না। দক্ষ জনশক্তি বা মানবসম্পদ তৈরি করতে শিক্ষা খাতে যে বাজেট বরাদ্দ দরকার তা ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেটে অপ্রতুল।
পরিচিতি : কথাসাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ
আপনার মতামত লিখুন :