সাজিয়া আক্তার : সঞ্চালন লাইনে সক্ষমতা না থাকায় উৎপাদিত বিদুত্যের যথা যোগ্য ব্যবহার হচ্ছে না। ফলে দেশের বিভিন্ন জায়গায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ সম্ভব হচ্ছে না। সঞ্চাল লাইন সংস্কারের প্রকল্প নেওয়া হলেও ধীরগতিতে চলছে বলে জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমাতে হলে তেল ভিত্তিক কুইট প্রেট এর নির্ভরতা কমাতে হবে।
পাওয়ার সেলের তথ্য অনুযায়ী দেশে বিদ্যুৎ কেদ্রের সংখ্যা ১১৮টি। যার উৎপাদন ক্ষমতা ১৮ হাজার মেগাওয়ার্ডের বেশি। এর মধ্যে বাড়াভিত্তিক অন্ত্যত ৩০টি কেন্দ্র থেকে আশে ১ হাজার ৭০০ মেগাওয়ার্ড।
মে মাসের শেষ থেকে সর্বোচ্চ বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় প্রায় ১১ হাজার মেগাওয়ার্ড। সাড়ে ৪ লাখ কিলোমিটার বিতরণ লাইনের মাধ্যমে ২কোটি ৯৩ লাখ গ্রাহক পাচ্ছেন বিদ্যুৎ সেবা। তবে পুরানো সঞ্চালন লাইন আর বিতরণ লাইনে কারণে উৎপাদিত বিদ্যুৎ নিরবচ্ছিন্ন ভাবে সরবরাহ করা যাচ্ছে না।
জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, জেনারেশন আমাদের যথেষ্ট্য কিন্তু ট্রান্সমিশনের কারণে অনেক জায়গায় আমরা বিদ্যুৎ দিতে পারছি না। ট্রান্সমিশনের লাইনগুলো মেরামতের কাজ হচ্ছে, আমরা আবার নতুন ভাবে কাজ করছি। আমরা আশা করছি নভেম্বর নাগাদ মোটামুটি একটা ভাল জায়গায় চলে যাবে।
দেশে উত্তর অঞ্চল ও মধ্য অঞ্চলে সঞ্চলন লাইন উন্নয়নে বেশ কয়েকটি প্রকল্প নেওয়া হলেও অর্থ সংকটে কাজ ধীরগতিতে হচ্ছে বলে জানান বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী।
নসরুল হামিদ আরো বলেন, অর্থ সংকটের জন্য আমাদের প্রায় ১৮ থেকে ১৯ টা প্রকল্প বসে আছে। প্রাইভেট ব্যাংক বা বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিলে সুদের হার অনেক বেশি। এগুলি সিদ্ধান্ত দেয় আড়াই বছর ৩ বছরে, বিশ্ব ব্যাংক কোনো সিদ্ধান্ত দিতে সময় নেয় আড়াই বছর থেকে ৩ বছরে।
বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি কমাতে পদক্ষেপ নেয়ার তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ক্যাব জ্বালানি উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেন, তেল-বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবহার করলে বিদ্যুতের ব্যয় বেড়ে যাচ্ছে। উৎপাদন ব্যয় বেড়ে গেলে আর্থিক ঘাটতি বেড়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ ভর্তুকি বেড়ে যাচ্ছে, এখন বিদ্যুৎ খাতে ভর্তুকি প্রায় ৮ হাজার কোটি টাকা। এই ভর্তুকি কমানোর জন্য ও নিয়ন্ত্রণের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানো হচ্ছে।
দেশের বিদ্যুতের সিস্টেম লস ১২ ভাগ, বড় প্রকল্প থেকে গ্রিডে আসার আগেই বিদ্যুৎ ব্যবস্থার আধুনিকায়নের তাগিদ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :