সাজিয়া আক্তার : উৎপাদন হতে বিপুল বিনিয়োগ এখন দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে মোবাইল হ্যান্ডসেট নির্মাতাদের। কারখানা চালুর আগেই বন্ধ করে দেওয়ার আশঙ্কা করছে তারা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেটে আমদানির চেয়ে উৎপাদনে বেশি কর আরোপ করা হয়েছে। এতে মাঝপথে থেমে যাচ্ছে মোবাইল হ্যান্ডসেট শিল্পের মেডিন বাংলাদেশের স্বপ্ন। ১ বছরের শিল্পে সাড়ে ৩ হাজার দক্ষকর্মীর কাজের সুযোগ হওয়ার কথা।
বিদায় অর্থবছরের বাজেট ঘোষণার পর মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানিকারকরা উৎপাদনে পরিনত হওয়ার ঘোষণা দেন। আর আগামী বাজের অর্থ ঘোষণার পর বললেন, উৎপাদক হওয়ার সুযোগ হতে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। বাজেট পেশের দিন জারিকৃত ভ্যাট সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপণে বাড়িয়ে দেওয়া হয় কর হার। এখন মোবাইল হ্যান্ডসেট আমদানীর ক্ষেত্রে ভ্যাট আমদানী শুল্কসহ মোট কর দিতে হবে ৩১ শতাংশ। আর দেশে সংযোজন কারখানা স্থাপনকারিদের শুধু যন্ত্রাংশ আমদানিকারিদের কর দিতে হবে ৩৪ শতাংশ।
বিএমপিআইএ সভাপতি রুহুল আলম আল মাহবুব বলেন, এবছর ভ্যাট আরোপের কারণে আমদানির চেয়ে সংযোজন খরচ বেশি পরে যাচ্ছে। আমদানিতে ৩০ শতাংশ এবং সংযোজনে ৩৫ শতাংশের উপর পরে যাচ্ছে। এই অবস্থায় আমাদের কার্যক্রম চালানো প্রায় অসম্ভব।
ওয়েব প্রজ্ঞাপণে জোড়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন শর্ত। কারখানাতে উৎপাদন করতে হবে পিসিবি, ব্যাটারি, চার্জার, হাইজিং, কেসিং। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিশ্বের কোনো হ্যান্ডসেট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এককভাবে এইগুলো উৎপাদন করে না। এমনকি এপোলো কিংবা স্যামসাংয়ের মত প্রতিষ্ঠানও এই সব পণ্য কিনে সংযোজন করে থাকে।
দেশে হ্যান্ডসেট শিল্পের যাত্রা শুরু হয়েছে মাত্র ১ বছর আগে, প্রস্তাবিদ বাজেটের কারণে সদ্যস্থাপিত কারখানা বন্ধ হয়ার আশঙ্কা করছেন এক্ষাতের উদ্যোগক্তারা।
টেকনো মোবাইল প্রধান নির্বাহী রেজোয়ানুল হক বলেন, এখান থেকে গ্লোবাল ব্র্যান্ডের এক্সপোর্ট একটা হাফ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু নীতিমালার ১ বছরের কারণে এটা বড় ধরনের একটা নেতিবাচক একটা প্রভাব ফেলবে। যদি এই ট্যাসেশন পরিবর্তন হয় তাহলে গ্লোবল ব্র্যান্ড আবার ফিরে আসতে পারে। আর তা না হলে গ্লোবাল ব্র্যান্ড এখানে তাদের ফেক্টরি রাখতে পারবে না।
দেশে বর্তমানে সাড়ে ৩ কোটি হ্যান্ডসেট আমদানি হচ্ছে।
সূত্র : যমুনা টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :