মোস্তাফিজার রহমান বাবলু, রংপুর: বর্ষাকালে একটু বৃষ্টিতেই রাস্তা ও অলিগলি পানিতে তলিয়ে যায়। বেশিরভাগ অনেকটা রাস্তা খাল- বিলের রুপ ধারন করে। বোঝার উপায় থাকে না এটি রাস্তা নাকি খাল। রাস্তা ও ফুটপাতের ওপর দিয়ে ড্রেনের ময়লা ভেসে ওঠে। দুর্বিসহ দুর্ভোগে পড়তে হয় বর্ষাকালে। বর্ষাকাল সামনে, তাই আতঙ্কে আছেন রংপুর নগরবাসী।
রংপুর নগরীর ২৭ নং ওয়ার্ডের আলমনগর এলাকার স্কুল শিক্ষিকা রওনক বেগম জানান, সামান্য বৃষ্টিতেই মারকাস তাবলিক মসজিদ থেকে চন্দ্রার মোড় রাস্তায় হাটু পানি জমে। ভারী বর্ষণ হলে পানি বাড়ে। মারকাস মসজিদের খাদেম সফিকুল ইসলাম ফকির চান বলেন, রাস্তায় পানি জমে থাকার কারনে বৃহৎ এই মসজিদে আসা তাবিলক জামাতের মুসল্লিসহ অন্যান্যদের দুর্ভোগ বেড়েছে। বর্ষাকালে যে কি হবে চিন্তায় আছেন। একই এলাকার কামরুল হাসান টিটু জানান, ড্রেনের কাজের মাটি রাস্তায় রাখার কারনেই বিভিন্ন স্থানে কোমর পানি হয়ে যায়।
রংপুর সিটি করর্পোশেনের বর্জ্য শাখার কর্মকর্তা শাহিন মিয়া বলেন, মারকাস তাবলিক মসজিদ থেকে চন্দ্রার মোড় সড়কের ওপর থেকে মাটি আজ(রোববার) সরানো হবে।ঠিকাদার মোহাম্মদ মাহমুদ বলেন, সিটি করপোরেশন থেকে বিল না দেয়ার কারনেই রাস্তার কাজ শুরু করতে পারছেন না। মেয়র আশ্বাস দিয়েছেন জানিয়ে ২৭ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হারুন অর রশিদ( হারুন) বলেন, আপাতত বর্জ্রশাখার কর্মকর্তা আন্তরিক হলেই এই ওয়ার্ডের হাজারো মানুষের দুর্ভোগ কমে আসবে।সূত্রে জানা যায়, ভারি বর্ষণে হলেই নগরীর বানিয়াপাড়া, দেওডোবা, টার্মিনাল, কামারপাড়া, আদর্শপাড়া, মুলাটোল, বৈরাগিপাড়া, দাসপাড়া, কাউয়াপট্রি, মন্ডলপাড়া, পাটবাড়ি, তাজহাট, কেরানীপাড়া, সর্দারপাড়া, মডানমোড়, বালাটারী খালিফাপাড়া, বাবুখাঁ, কলেজপাড়া, তাঁতিপাড়া, কুটির পাড়া, কামাল কাছনা, খামারপাড়া, কুকরুল, মিস্ত্রীপাড়া, জুম্মাপাড়া,ধর্মদাশ, হুনুমানতলা, নুরপুর, মহাদেবপুর, আলমনগর, মাহিগঞ্জ, নব্দিগঞ্জ, কলাবড়ি, লালবাগ, উত্তম, হাজিরহাট, সিওবাজার, পানামা, ডিমলা, বোতলা, খাসবাগ, গনেশপুর, ভুরারঘাট, নজিরের হাট, মন্থনা, বোতলাসহ ৩৩টি ওয়ার্ডের অন্যান্য পাড়া মহল্লার রাস্তায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। ২০১২ সালে রংপুর সিটি করপোরেশনের যাত্রা শুরু হয়।এই সিটি করপোরেশনে ১হাজার ৪২৭ দশমিক ২৫ কিলোমিটার রাস্তা রয়েছে। এর অধিকাংশেরই বেহালদশা।রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা জানান, ২১০ কোটি টাকার বরাদ্দ পেয়েছেন। ইতোমধ্যে অনেক রাস্তার কাজও পুনরায় শুরু হয়েছে। কাজ শেষ হলে দুর্ভোগ কমবে।
আপনার মতামত লিখুন :