লাকী আক্তার : ঈদ হচ্ছে একটি খুশির উৎসব, যেখানে ঈদের বোনাস দেওয়া এবং নেওয়া হয়। তবে আমি এখোনো নিতে বেশি ভালোবাসি এবং ঈদে আমার মাকে ঈদ বোনাস দিতে ভালোবাসি। ঈদ মানে ধনি-গরিব একই সাথে সকলের আনন্দের সময়। এবারের ঈদে অনেকে বেতন বোনাস পায় নাই। বিশেষ করে, ঈদের সময় অনেকে বেতনের জন্য রাস্তায় আন্দোলন করেছে। ঈদের আনন্দ সবার হওয়ার কথা ছিলো কিন্তু মালিকেরা তাদের শ্রমিকদের বেতন বোনাস না দেয়ার কারণে তারা ঈদের আনন্দ করতে পারেনি।
মৌলভীবাজারে যারা বন্যার্ত অবস্থায় আছে, খাবারের অভাবে ঈদ কাটিয়েছে এবং এখোনো তারা পানিবন্দী অবস্থায় আছে। রাষ্ট্র যদি তার সকল নাগরিকের সুযোগ সুবিধার কথা না ভাবে, তাহলে এটি সম্পূর্ণ অন্যায়। অনেকেই ঈদে তাদের শ্বশুর বাড়ীতে ভালো সময় কাটিয়েছে এবং ঈদের ছুটি কম হওয়ায় আবার দ্রুত এসে কাজে যোগ দিয়েছে। যারা ঈদের আনন্দ উপভোগ করতে পারে নাই তাদের জন্য গভীর সমবেদনা জানাই।
ঈদে যারা বাড়ি ফিরার পথে মারা গিয়েছে, তাদের পরিবারের ঈদ আনন্দ মাটি হয়ে গেছে। তাদের জন্যও সমবেদনা। আমরা মনে করি, উৎসবকে কেন্দ্র করে বেতন বৈষম্য যেন না হয়। আর যেখানে বৈষম্য হচ্ছে তা যেন অচিরেই বন্ধ হয়। যেকোনো উৎসব যেন উৎসবের মতই হয়, এ যেন মৃত্যু ফাঁদ না হয়। এই জায়গাটায় যেন রাষ্ট্র খেয়াল রাখে। রাষ্ট্র যখন এ সকল কাজ করতে পারে না, তখন রাষ্ট্রই এর জন্য দায়ী থাকবে।
পরিচিতি : বাংলাদেশ কৃষক সমিতির নির্বাহী সদস্য /মতামত গ্রহণ : তাওসিফ মাইমুন/সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :