মতিনুজ্জামান মিটু : চালতা ফলের অনুমোদিত জাত নেই। তবুও কয়েক বছর ধরে ধরে নিয়মিত বিদেশে যাচ্ছে। ২০১৭-২০১৮ বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রায় ১১ মেট্রিক টন এবং ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে প্রায় মেট্রিক টন চালতা রপ্তানী হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর(ডিএই)’র উদ্ভিদ সংগনিরোধ উইং সূত্রে জানা গেছে।
ডিএই এর হিসেবে ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে দেশে এক হাজার ৬৬৪ হেক্টর জমিতে ১৫ হাজার ৮৭২ মেট্রিক টন চালতা উৎপাদন হয়। অযত্ন অবহেলায় বনে জঙ্গলে জন্মে চালতা। ক্যালসিয়াম ও শর্করাসহ পুষ্টিমানের চালতায় যথেষ্ট ঔষধিগুণও রয়েছে। কচি ফল পেটের গ্যাস, কফ ও পিত্তনাশক। পাকা ফলের রস চিনিসহ পান করলে সর্দিজ্বর উপশম হয়। রাঙ্গামটি, খাগড়াছড়ি, বান্দরবান ও সিলেট জেলায় বেশি হলেও দেশের অনেক স্থানে চালতা দেখা যায়। চাটনি আচার তৈরীতে ব্যবহার হয়। মাছ ও ডালের সঙ্গে রান্না করে খাওয়া হয়। এছাড়া চালতার টক রান্না বিশেষ করে গরমকালে বেশ জনপ্রিয়।
বছরব্যপী ফল উৎপাদনের মাধ্যমে পুষ্টি উন্নয়ন প্রকল্পের উপ পরিচালক কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম ও কৃষি তথ্য সার্ভিসের টেশনিক্যাল পার্টিসিপেন্ট নাহিদ বিন রফিক বলেন, বর্তমানে সরকার অপ্রচলিত এবং বিলুপ্তপ্রায় ফলের উন্নয়নে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছে। চালতা অপ্রচলিত ফল হলেও সারাদেশে এটি জনপ্রিয়। আভ্যন্তরিন চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় ও নিয়মিত রপ্তানী হওয়ায় এফলের বানিজ্যিক গুরুত্ব অনেক বেড়েছে। তাই এই ফল সম্প্রসারণে সরকারি ও ব্যাক্তি পর্যায়ে নেয়া হচ্ছে নানা উদ্যোগ।
দেশের হর্টিকালচার সেন্টার ও বেসরকারি নার্সারিগুলোতে চালতার চারা সংগ্রহের সংখ্যা বাড়ছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটটের হর্টিকালচার রিসার্স সেন্টারের চীফ সাইন্টিফিক অফিসার ড. মোনোরঞ্জন ধর বলেন, চালতার একটি অগ্রবর্তী লাইন নিয়ে গবেষণা চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :