শিরোনাম
◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ভারত থেকে ১৬৫০ টন পেঁয়াজ আসছে আজ! ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী ◈ ড. ইউনূসের পুরস্কার নিয়ে ভুলভ্রান্তি হতে পারে: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও

প্রকাশিত : ২৩ জুন, ২০১৮, ০১:৫৬ রাত
আপডেট : ২৩ জুন, ২০১৮, ০১:৫৬ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

প্রত্যাবাসন ও আর্থিক সহায়তা কূটনৈতিক তৎপরতা বাড়ানোর তাগিদ

উম্মুল ওয়ারা সুইটি: বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া ১০ লাখ জনগোষ্ঠীর জন্য বাংলাদেশের ব্যয় হবে ৬০ কোটি ডলার। এছাড়া দীর্ঘদিন যদি রোহিঙ্গা বাংলাদেশে থাকে তাহলে এদের অবকাঠামো, চিকিৎসা এবং বাসস্থানের জন্য আরো দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয় করতে হবে বাংলাদেশকে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত করতে এবং রোহিঙ্গাদের জন্য আর্থিক সহায়তায় কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করে সংকট সমাধান না করতে পারলে আর্থিক ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশ।

জানা গেছে, ইতোমধ্যে সরকার রোহিঙ্গাদের জন্য দেড়লাখের বেশি আশ্রয় ক্যাম্প নির্মাণ করেছে। আর এসব ক্যাম্প করতে গিয়ে পাহাড় ও বন কাটা হয়েছে, যাতে ৩৯৭ কোটি ১৮ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯৩ টাকার সমপরিমাণ জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য স্থায়ী আবাসন গড়তে নোয়াখালীর ভাসানচরে ১২০টি গুচ্ছগ্রামে একহাজার ৪৪০টি ব্যারাক ও ১২০টি আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। এতে মোট ব্যয় হবে ২ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা।

অর্থমন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বাংলাদেশের মানুষের মাথাপিছু ব্যয় প্রায় ৭০০ ডলার। কিন্তু রোহিঙ্গাদের ব্যয় থাকলেও বৈধপথে আয়ের কোনও উৎস নেই। সেই হিসাবে এই ১০ লাখ রোহিঙ্গার পেছনে সরকারের বছরে ব্যয় হতে পারে কমপক্ষে প্রায় ৬০ কোটি ডলার।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে দাবি করা হয়, রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরের কারণে এখন পর্যন্ত ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন টাকা সমমূল্যের বনজ সম্পদ ব্যয় করা হয়েছে। পুরো বিষয়টি আমলে নিলে এ ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে দশ হাজার কোটি টাকার ওপরে।

কূটনৈতিক বিশ্লেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষক ও রোহিঙ্গা গবেষক অধ্যাপক জাকির হোসেন বলেন, দ্রুত প্রত্যাবাসন না হলে আর্থিক ঝুঁকিতে পড়বে বাংলাদেশ। তাই শুধু প্রত্যাবাসন নয় আর্থিক সহায়তার জন্য তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে।

মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মেজর (অব.) ইমদাদুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গারা ততদিন স্বেচ্ছায় যেতে চাইবে না, যতদিন না ফিরিয়ে নেওয়ার পর তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। এর জন্য দরকার ওদের নাগরিকত্ব ফিরিয়ে দেওয়া এবং নিজ বসতভিটেতে রাখা। এগুলো না হলে ফিরিয়ে নিয়েও লাভ নেই। কারণ পরে নাগরিক নয় বলে নতুন নির্যাতন শুরু হলে পুনরায় ওরা ফিরে আসবে। এ জন্য বাংলাদেশ প্রথম থেকেই নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তার বিষয়টি জোর দিয়ে আসছে। এখন এই ১০ লাখ রোহিঙ্গার ভরন পোষণের বিষয়কে গুরুত্ব দিতে হবে। না হয় বাংলাদেশের অর্থনীতির উপর চাপ পড়বে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়