হ্যাপী আক্তার : জুলাইয়ের মধ্যেই গ্রাহক পর্যায়ে মিলবে নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর বদলের সুযোগ বা এমএনপি সেবা। ফলে একাধিক অপারেটরের সেবা নিতে কিনতে হবে না আলাদা সিম। ইতোমধ্যে যন্ত্রপাতি স্থাপনসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালুর সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত কোম্পানি ইনফোজিলিয়ান বিডি টেলিটেক। অপারেটরদের পক্ষ থেকেও চলছে পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
ডেটা ও ভয়েস কলের উচ্চমূল্য, দুর্বল নেটওয়ার্ক ও গ্রাহক অসন্তুষ্টি দূর করতে ২০১৩ সালে এমএনপি চালুর উদ্যোগ নেয় বিটিআরসি। অপারেটরদের অনীহার কারণে তা আলোর মুখ দেখেনি। ৩১ মে চালুর কথা থাকলেও অপারেটরদের আবেদনে দুই মাস সময় বাড়ায় বিটিআরসি।
মোবাইল ফোন নম্বর অপরিবর্তিত রেখে যেকোন অপারেটর বদলানোর সুবিধাই হচ্ছে এমএনপি। ৩০ টাকা দিয়ে গ্রাহক তিনমাস কিংবা স্থায়ীভাবে অপারেটর বদলাতে পারবে গ্রাহক ।
নির্ধারিত সময়ে এমএনপি সেবা বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে বিটিআরসি। অপারেটরগুলোর পক্ষ থেকে সব ধরণের সহযোগীতা অব্যাহত আছে বলে জানান অ্যামটব মহাসচিব।
প্রতিবেশি ভারত-পাকিস্তানসহ বিশ্বের প্রায় ৭৫টি দেশে এমএনপি সুবিধা আছে। বর্তমানে অফনেট বা এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে কল এবং অননেট বা একই অপারেটরের মধ্যে কল ব্যবস্থা চালু আছে। এমএনপি চালু হলে অপারেটরগুলো গ্রাহক সেবার মান বাড়াতে বাধ্য হবে বলে মনে করছে বিটিআরসি। সূত্র : ইন্ডিপেন্ডেট টিভি
আপনার মতামত লিখুন :