শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২২ জুন, ২০১৮, ০২:৩১ রাত
আপডেট : ২২ জুন, ২০১৮, ০২:৩১ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘শেয়ারবাজার শক্তিশালী হলে আমানতকারীদের বিকল্প বিনিয়োগ ব্যবস্থা হবে’

আশিক রহমান : ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানোর সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রীকে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির অংশ, তা তারা রাখতে চাইছে। কিন্তু ব্যাংক ঋণের সুদের হার কমানো এতটা সহজ নয়। সুদের হার কমানোর দরকার আছে, এ নিয়ে আমাদের সমর্থনও রয়েছে। কারণ বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে হলে সুদের হার কমানোর বিকল্প নেই। এমন মন্তব্য করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক আবু আহমেদ।

আমাদের অর্থনীতির সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, আমানতের সুদ খেয়ে চলবে কেন মানুষ, তারা অন্য বিনিয়োগে যাক। সেটা হতে পারে শেয়ারবাজার। এখন শেয়ারবাজার কীভাবে দাঁড়াবে তা নিয়ে সবাইকে কাজ করতে হবে। লিখতে হবে। প্রয়োজনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে বলতে হবে, শেয়ারবাজার দাঁড় করানোর বিষয়টি নিয়ে তিনি যেন একটু চিন্তা করেন। শেয়ারবাজার দাঁড়ালে সাধারণ আমানতকারীরা সেখানে বিনিয়োগ করবে। শেয়ারবাজারকে ছোট করে রাখলে এখানে কেউ বিনিয়োগ করতে আসবে না। কারণ এখানে অত কোম্পানি নেই যে, দুইতিন বছর ধরে বিনিয়োগ করে রাখতে পারবে।

তিনি আরও বলেন, শেয়ারবাজারকে আমাদের শক্তিশালী করতে হবে। এটা করার একমাত্র উপায় হচ্ছে ভালো কোম্পানিগুলোকে লিস্টিংয়ে নিয়ে আসা। এ ছাড়া বাজেটে যদি কিছু কর সুবিধা দিত তাহলে শেয়ারবাজার ভালো হতো।

এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, মিটিং করে সুদের কমানো হয় না কোনোদিন। আমাদের অর্থনীতি তো প্রতিয়োগিতামূলক ব্যবস্থা চালু, এখানে যার সুবিধা হবে সে কমিয়ে দেবে আরও। যারাই সবচেয়ে কম সুদে ঋণ দিতে পারবে তাদের কাছে ঋণ গ্রহীতারা আসবেন, তখন অন্যরাও তা অনুসরণ করবে। একটা প্রতিযোগিতামূলক ব্যবস্থায় এভাবেই সুদের হার কমে। কিন্তু ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (বিএবি) যদি মিটিং করে সুদের হার কমায় তাহলে এটা কি একটা কার্টেল হয়ে গেল না? সবই দেখছে সবাই। তবে আমরা দেখতে চাই সুদের হারটা যেন কমে। এতে বিনিয়োগকারীরা উৎসাহিত হতে পারেন। শেয়ারবাজারের জন্যও এটা মঙ্গলজনক হবে। কিন্তু আমাদের মতো অর্থনীতিতে এত উচ্চ সুদের হার কোথাও নেই, এটাও মাথায় রাখতে হবে সবাইকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়