ইমরুল শাহেদ : মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার প্রিন্সিপাল উপ-সহকারী এলিস ওয়েলস মার্কিন সাংসদদের বলেছেন, তালেবানরা শান্তি আলোচনায় আসবে কিনা সে বিষয়ে পাকিস্তান কোনো স্থায়ী ও চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিচ্ছে না। কংগ্রেসনাল শুনানিতে কংগ্রেস সদস্য ইলিয়ানা রস-লেহতিনেনকে ওয়েলস বলেন, ‘আমরা চাই পাকিস্তান তাদের গ্রেফতার করুক, তাদেরকে তাড়িয়ে দিক বা তালেবান নেতাদের আলোচনার টেবিলে নিয়ে আসুক।’
ট্রাম্প প্রশাসন হাক্কানি নেটওয়ার্কের সঙ্গে সম্পৃক্ততা আছে এমন সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের কথা বলে পাকিস্তানকে সামরিক সহায়তা দেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে সন্ত্রাসীরা পাকিস্তানের ভিতর দিয়েই যাতায়াত করে এবং আফগানিস্তানে হামলা চালায়।
ওয়েলস বলেছেন, আফগানিস্তানের জন্য বড় সমস্যা হলো সন্ত্রাসীদের অভয়ারণ্য পাকিস্তান। তারা সেখানেই আশ্রয় নিয়ে থাকে।
মার্কিন প্রশাসনের কর্মকর্তারা নিয়মিতই পাকিস্তান সফর করছেন এবং পাকিস্তানকে চাপের মধ্যে রেখেছেন যাতে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করা হয়। তিনি বলেন, ‘আমরা স্বীকার করছি যে, আফগানিস্তানে শান্তি ফিরে এলে পাকিস্তান লাভবান হবে। সুতরাং সমস্যা হলো পাকিস্তানের সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে আলোচনার মাধ্যমে যতোটা তাদের সমর্থন আদায় করা যায়।’ আফগানিস্তান নিয়ে ট্রাম্প ঘোষিত কৌশলে বলা হয়েছে, পাকিস্তান তাদের মাটিতেই সন্ত্রাসীদের আবাদ করে। যারা বিশৃংখলা, সহিংসতা এবং সন্ত্রাস করে তাদের জন্য পাকিস্তান অভয়ারণ্য।’
ওয়েলস বলেন, ‘আমরা অস্বীকার করছি না যে পাকিস্তান নিজেও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে। তারা পাকিস্তানি তালেবানদের অনেকটাই পরাস্ত করেছে। কিন্তু তালেবানরা আবার পাকিস্তানের উপজাতি এলাকায় সমবেত হয়েছে। কিন্তু আমরা যেমন ভাবি সব সন্ত্রাসীই আমাদের শত্রু এবং একইসঙ্গে পাকিস্তানেরও শত্রু। পাকিস্তানেরও তেমনটা ভাবা উচিত।’ ইয়ন
আপনার মতামত লিখুন :