ফাহিম ফয়সাল: প্রস্তাবিত বাজেটে তথ্যপ্রযুক্তি খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পণ্যের ওপর আরোপিত কর সংশোধনের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)।
বৃহস্পতিবার রাজধানীয় আগারগাঁওয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সভাকক্ষে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে এ-সংক্রান্ত দাবিনামা পেশ করেন সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূইয়া, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি সচিব সুবীর কিশোর চৌধুরী, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য-শুল্কনীতি ও আইসিটি ফিরোজ শাহ আলম প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষিত বাজেট সংশোধিত প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেন, ওপারেটিং সিস্টেম, ডাটাবেজ, ডেভেলপমেন্ট টুলস এবং সিকিউরিটি সফটওয়্যার আমদানীর ওপর থেকে শুল্ক কমানো হলেও দেশে উৎপাদিত সফটওয়্যার শিল্পকে বাঁচাতে অন্যান্য কম্পিউটার সফটওয়্যারের আমদানী শুল্ক না কমিয়ে বরং তা বাড়ানোর দরকার। পাশাপাশি, তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার ওপর আলোচ্য বাজেটে মূসক বাড়িয়ে ৫শতাংশ করা হয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার ওপর থেকে মূসক সম্পূর্ণরূপে প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। একইসাথে অবিলম্বে ভ্যাট অটোমেশন সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভ্যাট গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি জানান।
তিনি বলেন, ২০২৪ সাল পর্যন্ত আইটি/ আইটিইএস-এর জন্য ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর্পোরেট ট্যাক্স মওকুফ রয়েছে। এজন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে কর অব্যাহতি সনদ সংগ্রহ করতে নানাবিধ জটিলতা হয়। এজন্য উক্ত প্রত্যয়ন পত্র বেসিস থেকে ইস্যু করার জন্য বেসিসকে দায়িত্ব দেওয়ার প্রস্তাব করেন। পাশাপাশি সকল ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রায় আনা রফতানি আয়ের ওপর কোনো অগ্রিম আয়কর কর্তন না করার জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড থেকে একটি পত্র জারির অনুরোধ করেন।
এছাড়াও বেসিস সভাপতি ইন্টারনেট সেবার উপর ধার্য মূসক সর্ম্পর্ণরূপে প্রত্যাহার করে প্রান্তিক পর্যায়ের গ্রাহকদের কাছে ইন্টারনেট সহজলভ্য করে ২০২১ সালের মধ্যে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপকল্প বাস্তবায়ন নিশ্চিত করার জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সভায় ‘অনলাইনে পণ্য বিক্রয়’ এবং ‘ভার্চুয়াল বিজনেস’ এর সংজ্ঞা স্পষ্টিকরণ করে ই-কমার্স খাতের ব্যবসা সম্প্রসারণে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সহায়তা কামনা করেন। সভায় আইটি ও আইটিইএস রফতানিতে নগদ প্রণোদনার জন্য আবেদনের সময়সূচি যৌক্তিক কারণে সেপ্টেম্বর ২০১৮ পর্যন্ত বাড়ানোর অনুরোধ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :