শিমুল মাহমুদ: জিসিসির নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনাররা গাজীপুরের প্রার্থীদের সাথে নির্বাচন সমন্বয় কমিটির বিশেষ আইনশৃঙ্খলা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার পর দিন থেকেই সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপির নির্বাচন সংশ্লিষ্ট নেতাদের ধরপাকড় শুরু হয়।
এদিকে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নুরুল হুদার এমন বক্তব্যের পর বিএনপির নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতারে নির্বাচন কমিশনের সমালোচনায় সরব বিএনপি।
বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আমাদের সময় ডটকমকে বলেন, গত রাতেও (বুধবার) গাজীপুরের কাশিমপুরে আমাদের দলের ১৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ কারণে গাজীপুরের পুলিশ সুপারকে সরানোর জন্য বলে আসছি আমরা। যেদিন আমাদের প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিলো আর জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করলো, তাকেসহ ৫৭ জনকে গ্রেফতার করলো। আর হাইকোর্ট যেদিন নির্বাচন বন্ধ করলো ওইদিন আমাদের আব্দুল্লাহ আল নোমানসহ ২১৩ জনের নামে মামলা দিলো। এটা হলো আমাদের সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, এটা হলো আমাদের সিইসির খুলনার মতো নির্বাচন না হওয়ার নমুনা।
আরো পড়ুন : ইউরোপ যাওয়ার পথে মৃত্যুর মিছিলে বাংলাদেশিরা
নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বুধবার (২১ জুন) প্রধান নির্বাচন কমিশনার গাজীপুরে প্রার্থীদের সঙ্গে সমন্বয় সভা করেন। এরপর থেকে সিটির বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিএনপির নির্বাচন-সংশ্লিষ্ট নেতাদের বিরুদ্ধে ধরপাকড় শুরু হয়েছে।
আরো পড়ুন : পদ্মা সেতু প্রকল্পে ব্যয় বাড়লো ১৪০০ কোটি টাকা
গত (বুধবার) রাতে কাশিমপুর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শওকত হোসেন সরকার, সদস্য সচিব শাহিন, সদস্য শাজাহান ডিলার, কোনাবাড়ীতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ডা. মিলন, সদস্য সচিব মিলন মিয়া ও সদস্য সাইফুল ইসলামকে ঢাকার ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এছাড়া, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মো. আবদুস সামাদ, শাহ আলম এবং ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য আবু সায়েমকে গাজীপুর ডিবি পুলিশ গ্রেফতার করে।
আরো পড়ুন : ক্ষমতা আদায় করে নিতে হবে : ফখরুল
আরো পড়ুন : বাংলাদেশের তরুণ ও জার্মান তরুণীর ভাগ্য
আপনার মতামত লিখুন :