স্পোর্টস ডেস্ক: ২০১৫ সালে তিনি টানা তৃতীয়বারের মতো জিতেছিলেন ডেনমার্কের বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার। আরো অনেক পুরস্কার ২৬ বছর বয়সী অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ক্রিশ্চিয়ান এরিকসনের ঝুলিতে। রাশিয়া বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে গ্রুপ 'সি' থেকে পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলের জয়ের পেছনে ছিলেন এই এরিকসন। তার অ্যাসিস্টেই জয়সূচক গোলটি এসেছিল। কোচ বলেছিলেন, এরিকসনের এই বিশ্বকাপে অনেক কিছু দেওয়ার আছে। বৃহস্পতিবার নিজেদের ম্যাচের শুরুতেই অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ডেনমার্ককে উৎসবে মাতালেন ওই এরিকসনই। ৭ মিনিটের মাথায় বাঁ পায়ের দুর্দান্ত এক গোলে ১-০ এর লিড এনে দিয়েছেন দলকে। দুর্দান্ত শুরু করেছে নক আউট পর্বের দিকে তাকিয়ে থাকা ডেনিশরা।
ডেনিশরা এই ম্যাচ জিতলে 'সি' গ্রুপ থেকে এক পা দিয়ে রাখবে নক আউট পর্বে। প্রথম ম্যাচে তারা পেরুর বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছে। ১৬ ম্যাচে অপরাজিত তারা। শেষবার হেরেছিল ২০১৬ সালের অক্টোবরে। ১৯৯৮ এর বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভালো লড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু হারতে হয়েছিল ২-১ গোলে। তাই ডেনিশদের মতো শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে এটা তাদের অস্তিত্বের লড়াই।
দুই দলের শক্তির তারতম্য অবশ্য খাতাকলমে অনেক বেশি। ফিফা বিশ্ব র্যাঙ্কিংয়ে অস্ট্রেলিয়া ৩৬। সি গ্রুপে র্যাঙ্কিংয়ে সবার পেছনে। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে খেলা ডেনমার্ক আছে ১২ নম্বরে। গেল বিশ্বকাপ মিস করে এবার আবার তারা ফিরেছে ফুটবলের সর্বোচ্চ এই আসরে।
এদিনই পেরুর বিপক্ষে মাঠে নামবে ফরাসিরা। প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়ার মতো প্রথম ম্যাচে হারা পেরু। জিততে পারলে ফ্রান্সের শেষ ষোল নিশ্চিত হয়ে যাবে। এদিকে ডেনমার্ক জিতলে তাদেরও সঙ্গী করে নিয়ে যাবে। বাকি দুই দলের তাই বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে এক ম্যাচ হাতে রেখে। একাতেরিনবার্গে বাংলাদেশ সময় রাত ৯টায় শুরু হবে ফ্রান্স-পেরু ম্যাচটি।
আপনার মতামত লিখুন :