সাজিয়া আক্তার : বেপরোয়া মোটরসাইকেল চলাচলে নাভিশ্বাস নগরবাসী। বেপরোয়া চলাচল সামলানো যাচ্ছে না কোনো ভাবেই। মোরটরসাইকেল চালকদের বিভিন্ন মামলা জরিমানা করতে করতে হাঁপিয়ে যাচ্ছে ট্রাফিক পুলিশরাও। অনেক জায়গায় দড়ি বেঁধে চালকদের আটকানোর চেষ্টা করে ট্রাফিক পুলিশ।
দেখে মনে হতে পারে বাইক রেসের কোনো দৃশ্য অথবা তাদের সবারই কোনো না কোনো তাড়া আছে। আসলে রাজধানীর বেশির ভাগ ট্রাফিক সিগন্যালে মোটরসাইকেল চালকদের বেপরোয়া চলাচল এবং একই সাথে ট্রাফিক আইন চলাচলে এমন চিত্র খুব স্বাভাবিক হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিজের জীবনের ঝুঁকি আর দুর্ঘটনাকে মোটরসাইকেল চালকরা প্রচণ্ড অবহেলায় প্রতিনিয়ত পকেটে নিয়ে ঘুরে।
মোটরসাইকেল চালকরা বলেন, সবাই মনে করে যানজটের কারণে রাস্তায় কোনো খালি জায়গা থাকে না। তাই একটু খালি জায়গা পেলে তারা চলে যেতে পারে এজন্য তারা এই ঝুঁকি নেয়। তারা মনে করেন, মোটরসাইকেলের জন্য আলাদা একটা লাইন করা উচিৎ।
ডিএমপি ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগের ইন্সপেক্টর বিমল চন্দ্র সাহা বলেন, সব মোটরসাইকেল চালকরা বেপোরোয়া চালায় তা নয়। যারা এমন করে তাদের মানসিকতাই অন্য। আমরা তাদেরকে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা করছি।
এদিকে রাজধানীতে প্রতিনিয়তই দেখা যায়, যানজটের কারণে রাস্তায় জায়গা না থাকার ফলে ফুটপাতে উঠে যাচ্ছে মোটরসাইকেল। এতে করে পথচারীদের চলাচলে ব্যাঘাত ঘটলেও নেই কোনো প্রতিবাদ। মামলা জরিমানা করতে করতে ক্লান্ত ট্রাফিক পুলিশও। তাই পুলিশরা এখন চালকদের বিবেক বোধের উপরেই জোর দিচ্ছেন। এ ছাড়া আরও দেখা যায়, চালকদের অনেকের হেলমেট নেই আবার একই মোটরসাইকেলে তিনজনে চড়ে বসা এবং শিশুসহ পরিবারের সদস্যদের নিয়ে ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল করা।
ভুক্তভোগীরা মনে করেন, শুধুমাত্র নিজেরা সচেতন না হলে এবং আইনের প্রয়োগ কার্যকর না হলে এর সমাধান হবে না।
সূত্র : যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :