সাজিয়া আক্তার : খুলনার গোটা শহরের অলিগলি যেনো ধ্বংসস্তুপ। সেখানকার নগরবাসীর জন্য পানি সরবরাহে ২০১৪ সালে যে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছিল ওয়াসা, তারই ধারাবাহিকতায় এখন সেখানকার অলি-গলিতে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সেখানকার সাধারণ মানুষকে। নগরবাসী বলছে, বছর পার হলেও বন্ধ হচ্ছে না খোঁড়াখুঁড়ি। তবে কবে নাগাদ পানি পাওয়া যাবে সে বিষয়ে কিছু বলছে না ওয়াসা।
নগরীর প্রধান সড়ক থেকে শুরু করে যত অলিগলি রয়েছে যেখানেই চোখ পরবে সেখানেই রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ি দৃশ্য চোখে পড়বে। এসব সড়কের কোনোটাতে ১ মিটার আবার কোনোটাতে তারও বেশি গর্ত করে পাইপ বসাচ্ছে ওয়াসা। এ থেকে কবে মুক্তি মিলবে আর কবেই বা মিলবে সুপ্রিয় পানি এমন প্রশ্নের উত্তরেই রয়েছে নগরবাসী।
স্থানীয় এলাকাবাসীর সূত্রমতে, আমরা যাতে ভাল পানি পাই এবং পানিতে ময়লা না থাকে তাহলে আমাদের নগরবাসীর জন্য খুব ভাল হবে। কিন্তু এখানের পানি খুবই ময়লা, পানিতে পোকা পাওয়া যায়। এছাড়া পাইপগুলোও নষ্ট হয়ে গেছে।
সিটি করপোরেশন হিসেব অনুযায়ী নগরীতে বাড়ির সংখ্যা ৬৬ হাজারেরও বেশি। এর বিপরীতে ওয়াসার গ্রাহক রয়েছে প্রায় ১৯ হাজার। সেবা সংস্থাটি বলছে, ৪৫ হাজার বাড়িতে নতুন করে পানির লাইন সংযোগ দেয়ার কাজ শুরু করেছে তারা। এক্ষেত্রে পুরোনো গ্রাহকদের নতুন পাইপ লাইনে পানি সরবরাহ করা হবে। আর নতুন গ্রাহকরা পানি পাবে কিছুদিন পর।
এদিকে ওয়াসাকর্মীরা মানুষের বাসায় গিয়ে ফ্রম পূরণ করে তাদের বাড়িতে পানির সংযোগ দিচ্ছে। তারা জানায়, রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে জনদুর্ভোগ যেনো না হয় সেজন্য কাজ শেষ হওয়ার পরেই রাস্তার গর্তে মাটি দিয়ে সমান করে তা চলাচলের উপযোগি করা হচ্ছে। গোটা প্রকল্পের কাজ এরই মধ্যে ৮৫ শতাংশ শেষ হয়েছে। আসছে ডিসেম্বরে ৩৫ হাজার গ্রাহককে পানি সুবিধা দেয়া যাবে। পরে এর সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে।
খুলনা ওয়াসা উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা অপেক্ষা করছি মানুষকে কখন আমরা সুপ্রিয় পানি দিতে পারবো। এতে দাম একটু বাড়বে।
খুলনা ওয়াসা ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ বলেন, আমরা যেভাবে কাজের পরিকল্পনা করেছি এতে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই মেরামতের কাজটা শেষ হবে। চলাচলের ক্ষেত্রে জনগণের দুর্ভোগ যেনো না হয় আমরা সেভাবে চেষ্টা করছি।
সূত্র : যমুনা টিভি
আপনার মতামত লিখুন :