হ্যাপী আক্তার : আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ঘিরে গেলো কয়েক মাস ধরেই বিভিন্ন উৎসবকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সাথে পাল্লা দিয়ে জোরেশোরেই প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন দুই জোটের শরিক দলগুলোর প্রার্থীরা। ২০ দলীয় জোটের শরীক জামায়াত ও খেলাফত মজলিস এরইমধ্যে তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছে। মাঠে আছে জাতীয় পার্টিও।
সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নগরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে ব্যানার, বিলবোর্ড ও ফেস্টুনে নিজেদের প্রার্থীতা জানান দিয়ে আসছে দেশের বড় রাজনৈতিক দুই জোটের শরীক দলের সম্ভাব্য প্রার্থীরাও। পাশাপাশি চালিয়ে যাচ্ছেন জনসংযোগ।
তবে, শেষ পর্যন্ত জোটের স্বার্থে শরীক দলের প্রার্থীরা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন- এমন প্রত্যাশা আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের।
জাতীয় পার্টির প্রার্থী প্রচারণা চালিয়ে গেলেও অপেক্ষায় আছেন কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের জন্য। আর জোটের সিদ্ধান্ত যা-ই হোক নির্বাচনে প্রতিদ্ব›িদ্বতায় অনড় জামাত ও খেলাফত প্রার্থীর।
সিলেট মহানগর জাপার যুগ্ম আহ্বায়ক ও মেয়র প্রার্থী আবদুস সামাদ নজরুল বলেছেন, আমরা এককভাবে কোনো সিদ্ধান্ত নেই।
সিলেট মহানগর জামায়েতের আমীর ও মেয়র প্রার্থী এহসানুল মাহবুব জুবায়ের বলেছেন, দল গঠনের চেষ্টায় আছি। জোটবদ্ধবাভে যাতে নির্বাচনে যেতে পারি সে ব্যাপারেও চেষ্টা চলছে।
তবে, বড় দুই দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাদের আশাবাদ জোটের শরিক দলের প্রার্থীরা শেষ পর্যন্ত সরে দাঁড়াবেন।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইন বলেছেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করবো। দলের ভেতরের সকল সমস্যা স্থানীয়ভাবে সমাধান করা যাবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
সিলেট মহানগ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের দিকে থেকে মহা জোট অনেক কার্যকরী। স্থানীয়ভাবে ঐক্যের বিষয়টি ভাবা হয়নি। তবে এই বিষয়টি নিয়ে দলের সাথে আলোচনা করা হবে।
এরই মধ্যে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করেছেন সিলেট সিটির বর্তমান মেয়রসহ বিএনপির ৩ নেতা। একই ভাবে দলের মনোনয়নের অপেক্ষায় আওয়ামী লীগের স্থানীয় ৫ নেতা। সূত্র : ডিবিসি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :