সান্দ্রা নন্দিনী: অভিভাবকহীন শোকাগ্রস্ত সন্তান যারমধ্যে রয়েছে ৯মাসের শিশুও, যাদের মাথাভর্তি উকুন কিংবা ঘা হয়ে যাওয়া পিঠ অথবা নানারকম ছোঁয়াচে রোগে জর্জরিত অবস্থা, এরকম কয়েকজন অভিবাসী সন্তানকে গোপনে নিউইয়র্কে পাঠানোয় বিস্ময়ে হতবাক হয়ে গেছেন সেখানকার মেয়র বিল ডে ব্লাসিও। বুধবার মার্কিন-মেক্সিকো সীমান্তে অন্তত ২৩৯ শিশুকে তাদের মা-বাবার কাছ থেকে আলাদা করে সকলের অজ্ঞাতে নিউইয়র্ক শহরে পাঠানো হয়।
প্রসঙ্গত, দেশের অভ্যন্তরে ডেমোক্রেটসহ নিজদলের একাধিক সদস্যের তোপের মুখে ‘কঠোর’ অভিবাসননীতির আওতায় অবৈধ অভিবাসীদের সন্তানদের পৃথকীকরণ থেকে সরে এসে বুধবার নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সেই পরিস্থিতিতে নিউইয়র্কের হারলেমে অভিবাসী সন্তানদের জন্য প্রস্তুতকৃত একটি অভ্যর্থনাকেন্দ্রে গিয়ে দেখতে পান, অভিভাবক থেকে আলাদা হওয়া কয়েকজনকে গোপনে সেখানে নিয়ে আসা হয়েছে। একজন টেলিভিশন সাংবাদিককে সেখানে আগের রাতে শহরটিতে গোপনে পৌঁছানো কয়েকজন কিশোরীর চিত্রধারণ করতে দেখা যায়।
নিউইয়র্ক মেয়র বলেন, ২৩৯জন শিশুকে তাদের অভিভাবক থেকে আলাদা করে শহর কর্তৃপক্ষের কোনরকম অবগতি ছাড়া কিভাবে নিউইয়র্কে পাঠানো হল, তা ভেবে রীতিমত হতবাক হয়ে পড়েছেন তিনি।
ডে ব্লাসিও বলেন, ‘এটা কিভাবে সম্ভব হতে পারে যে আমরা কেউই এই ২৩৯জন শিশুর আমাদের শহরে পৌঁছানোর বিষয়ে কিছুই জানতে পারলাম না? কিভাবে কেন্দ্রসরকার নিউইয়র্কের মানুষকে এবিষয়ে কোনরকম তথ্য না জানিয়ে থাকতে পারে এবং একইসাথে এই বাচ্চাগুলোর যাকিছু প্রয়োজন সেবিষয়ে কোনরকম সাহায্যের কথা বেমালুম ভুলে যায়?’
ট্রাম্প প্রশাসনের অভিবাসননীতির তীব্র সমালোচনা করে তিনি জানান, শিশুকেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য টেক্সাসে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের অন্যান্য মেয়রদের সঙ্গে সাক্ষাৎ অনুষ্ঠানে যোগদান করছেন না তিনি। এএফপি
আপনার মতামত লিখুন :