মামুন হাওলাদার, দৌলতখান (ভোলা) প্রতিনিধি: ভোলার দৌলতখানে মায়ের হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।বুধবার দৌলতখান প্রেসক্লাবে সকাল ১০ টায় সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে নিহত উম্মেকুলছুম বকুল বেগম এর মেয়ে আমেনা বেগম বলেন, গত ৪ মে দৌলতখানের চরখলিফা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে নিজ বসত ঘরে নির্মমভাবে খুন হন তার মা। ওই দিন আমরা ৫ বোন আমাদের স্ব-স্ব স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করি। মায়ের খুনের ঘটনা শোনার পর আমার পিতার বাড়িতে ছুটে এসে শুনি আমার ভাই রেজাউল করিম মাকে হত্যা করেছে। কিন্তু বিষয়টি আমাদের বিশ্বাস হচ্ছিলনা। কারণ আমার মা ও আমাদের সবাইকে বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য প্রতিবেশী হনিফ গংরা দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্নভাবে চেষ্টা চালিয়ে আসছিলো । আমার মা মৃত্যুর ১৪ দিন পূর্বেও বসতঘর থেকে উচ্ছেদ ও খুন জখম করতে পারে এমন আশংখা থেকে দৌলতখান থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছিলো। অভিযোগের ভিত্তিতে দৌলতখান থানার এস.আই তানসেন বিষয়টি তদন্ত করেন।
বকুল বেগম আরো বলেন, গত ৫ মে আমরা দৌলতখান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করি। মামলা নং ০৩। আসামীরা হলেন (১)রেজাউল করিম, পিতা আবদুল কুদ্দুস (২) মো. হানিফ, পিতা মোজাম্মেল হক (৩) মোসাম্মদ সাম্মি আক্তার ,স্বামী রেজাউল করিম সর্ব সাং দিদারউল্লাহ্ । আমার মাকে হত্যার পর আমার ভাই রেজাউল করিমকে আহত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়। পরে তাকে ৫ দিনের রিমান্ডে দৌলতখান থানায় আনা হয়। এদিকে মামলার অন্য আসামীরা এখনো প্রকাশ্যে ঘুরছে।
আমেনা বেগম বলেন, মামলা দায়েরের সময় আরো কয়েকজনকে আসামী করেতে চেয়েছিলাম কিন্তু তাতে বাঁধা দেয়া হয়েছিলো। অন্যদিকে একটি কুচক্রী মহল হত্যা মামলার বিষয়টি সমজোতা করতে আমাদের উপর বিভিন্ন ভাবে চাপ প্রয়োগ করছে । এছাড়াও আমার ভাই এর মামা শ^শুর মো. তুহিন মিয়া, পিতা মৃত আবদুস ছালেম ৪ নং ওয়ার্ড কুড়ালিয়া, সে বাদী হয়ে গত ৯ মে আমি ও আমার বোন সহ ১০ জনকে মায়ের হত্যার দায়ে আমাদের আসামী করে দৌলতখান আমলি মেজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা দায়ের করে।
সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কন্ঠে আমেনা বেগম বলেন, আমার মায়ের হত্যাকারীদের বিচার ও আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা থেকে অব্যহতি পেতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সহানুভূতি কামনা করছি।
আপনার মতামত লিখুন :