শিরোনাম
◈ ফরিদপুরে পঞ্চপল্লীতে গণপিটুনিতে ২ ভাই নিহতের ঘটনায় গ্রেপ্তার ১ ◈ মিয়ানমারের ২৮৫ জন সেনা ফেরত যাবে, ফিরবে ১৫০ জন বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ ভারতে লোকসভা নির্বাচনের প্রথম দফায় ভোট পড়েছে ৫৯.৭ শতাংশ  ◈ ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়ার কাজ শুরু করেছেন প্রধানমন্ত্রী: ওয়াশিংটনে অর্থমন্ত্রী ◈ দাম বেড়েছে আলু, ডিম, আদা ও রসুনের, কমেছে মুরগির  ◈ প্রার্থী নির্যাতনের বিষয়ে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে, হস্তক্ষেপ করবো না: পলক ◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী 

প্রকাশিত : ২১ জুন, ২০১৮, ০৪:৪৮ সকাল
আপডেট : ২১ জুন, ২০১৮, ০৪:৪৮ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

শেরপুরের জে এম বি সদস্য কাসেম কে নিয়ে যুক্তিতর্ক

তপু সরকার হারুন, শেরপুর: শেরপুরে জেএমবির নব্য সদস্য আবুল কাশেম ওরফে আবু মোসাব (২২) এর বিরুদ্ধে বিচারাধীন চাঞ্চল্যকর বিস্ফোরক মামলায় যুক্তিতর্ক প্রায় শেষ হয়েছে। ২০ জুন বুধবার শেরপুরের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-১ এ ওই যুক্তিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়। ট্রাইব্যুনালের বিচারক (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এম.এ নূর উভয় পক্ষের বক্তব্য শ্রবণ-গ্রহণ করে ওই মামলায় বৃহস্পতিবার উভয় পক্ষের আইনগত ব্যাখ্যা প্রদানের তারিখ ধার্য করেন।

ট্রাইব্যুনালের ভারপ্রাপ্ত পিপি এডভোকেট অরুণ কুমার সিংহ রায় ওই তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ট্রাইব্যুনালে উভয় পক্ষের আইনগত ব্যাখ্যা শেষ হলে খুব শীঘ্রই তা রায়ের জন্য কার্যতালিকায় রাখা হবে।

ট্রাইব্যুনাল সূত্র জানায়, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দুর্গোৎসবকে সামনে রেখে বড় ধরনের নাশকতার উদ্দেশ্যে ২০১৭ সালের ৫ অক্টোবর রাতে নকলা উপজেলার চন্দ্রকোনা বাজারে জঙ্গিদের বিস্ফোরক তৈরির রাসায়নিক পদার্থের গোডাউনের সন্ধান এবং ওই গোডাউন থেকে নাইট্রিক এসিড, সালফারিক এসিড, ক্লোরোফর্ম ও ডাইক্লোমেথিনসহ বিস্ফোরক তৈরির প্রায় ৬শ লিটারের বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক তরল পদার্থ উদ্ধার করে পুলিশ। তৎকালীন পুলিশ সুপার রফিকুল হাসান গনির নেতৃত্বে জেলা পুলিশের ব্যাপক তৎপরতা ও নজরদারির কারণেই ওই অভিযানটি সফল হয়।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ময়মনসিংহ বিভাগের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পরে ওই ঘটনায় ৭ অক্টোবর নকলা থানায় গোডাউনের ভাড়াটে আবুল কাশেম (২২) ও ফয়েজ উদ্দিন (৩৩) এবং মালিক মিনারা বেগম (৩২)সহ স্বনামে ৩ জন ও অজ্ঞাতনামা বেশ কয়েকজন জঙ্গীকে আসামী করে ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক দ্রব্য আইনের ৪/৫/৬ ধারায় একটি মামলা রেকর্ড হয়।

ওই মামলায় পর্যায়ক্রমে গ্রেফতার হয় প্রধান আসামী আবুল কাশেমসহ সকল আসামী। পরবর্তীতে আদালতে আবুল কাশেম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও চন্দ্রকোনা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আমিনুর রহমান তদন্ত শেষে একই বছরের ২৮ ডিসেম্বর একমাত্র আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

এক পর্যায়ে কাকতালীয়ভাবে আবুল কাশেম জামিনে বেরিয়ে গেলেও ফের গ্রেফতার হয়ে ওই মামলায় হাজতে যায়। চলতি বছরের ৮ মার্চ ওই মামলায় আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর বিচারিক পর্যায়ে সংবাদদাতা বাদী, ম্যাজিস্ট্রেট ও বিস্ফোরক বিশেষজ্ঞসহ ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়।

বুধবার যুক্তিতর্কের জন্য আবুল কাশেমকে কড়া নিরাপত্তায় জেলা কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। এরপর আদালত অঙ্গনে জোরদার করা হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়