শিমুল মাহমুদ : বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জোরালো আন্দোলন নামছে বিএনপি। তাছাড়া আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনসহ ৩ সিটি নির্বাচনের একক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিএনপি জোট।
প্রায় এক ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠক শেষে বিএনপি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আগামী দিনগুলোতে তিন সিটি নির্বাচন ও গাজীপুর নির্বাচন নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আগামীকালের বিক্ষোভ কর্মসূচীর সমর্থন জানিয়েছে ২০ দলীয় জোট ।
২০ দলীয় জোটের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, আসন্ন বরিশাল, রাজশাহী এবং সিলেট সিটি নির্বাচনে জোটের পক্ষ থেকে একক প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়ার পরিকল্পনা করছে বিএনপি জোট। এছাড়া আগামী ২৭ জুন জোটের শীর্ষ বৈঠকে এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার কথা রয়েছে জানা যায়।
বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ২০ দলীয় জোটের এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেন, গাজীপুরসহ চার সিটি নির্বাচনে এককভাবে কাজ করবে ২০ দল। খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে বিএনপির পাশে থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই আন্দোলন ধীরে ধীরে জোরালো করার বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
তাছাড়া চেয়ারপারসনের সু-চিকিৎসার জন্য ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির জোর দাবি জানানো হয়। এছাড়া পবিত্র রমজানে ও ঈদের ছুটিতে বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও ক্ষোভ জানিয়ে গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয় বৈঠক থেকে। মাদক নির্মূলের নামে বিচরবর্হিভূত হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।
লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, চার সিটি নির্বাচনে এককভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়ে আলোচনা হলো। আমরা আগামীকালের কর্মসূচিকে সমর্থন জানিয়েছি। এবং আগামী ২৩ জুন ২০ দলীয় জোটের গাজীপুর যাবার সিদ্ধান্তের বিষয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য আব্দুল হালিম, জাতীয় পার্টি (জাফর) মহাসচিব মোস্তোফা জামাল হায়দার, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্ত্তজা, এনপিপি চেয়ারম্যান ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, খেলাফত মজলিশের মহাসচিব ড. আহমেদ আব্দুল কাদের, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তোফা ভুইয়া, জাগপা সভাপতি রেহেনা প্রধান, কল্যাণ পার্টির মহাসচিব এম এম আমিনুর রহমান, বিএমএল সভাপতি এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান, লেবার পার্টি (একাংশ) চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, (অপরাংশ) মহাসচিব হামদুল্লাহ আল মেহেদি, ডিএল সাইফুদ্দিন মনি, পিপলস্ লীগ মহাসচিব সৈয়দ মাহবুব হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, ইসলামিক পার্টির চেয়ারম্যান আবু তাহের চৌধুরী, ইসলামীক ঐক্যজোট চেয়ারম্যান এডভোকেট এম এ রাকিব প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :