সজিব খান: প্রায় আট বছর পর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে আসন্ন অর্থবছরেই হাজারখানেক বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করবে সরকার। ইতোমধ্যে নতুন নীতিমালা অনুযায়ী এমপিওভুক্তির কাজও শুরু করে দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন দুই কর্মকর্তা মঙ্গলবার বলেন, এমপিওভুক্তির নতুন নীতিমালা হয়ে গেছে। এখন এর আলোকে শিগগিরই অনলাইনে এমপিও-প্রত্যাশিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে আবেদন গ্রহণ করা হবে। এ জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরি হচ্ছে। আবেদনের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর তথ্য যাচাই-বাছাই করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের (মাধ্যমিক) নেতৃত্বে একটি কমিটির খসড়াও প্রস্তুত করা হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, সারা দেশে কি পরিমাণ স্বীকৃত পাওয়া বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে এবং এর মধ্যে কতগুলো এমপিওভুক্ত হওয়ার মতো অবস্থায় আছে, সেগুলোর তথ্য সংগ্রহ, যাচাই-বাছাই কমিটি গঠনসহ আনুষঙ্গিক প্রাথমিক কাজ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোহরাব হোসাইন বলেন, কতগুলো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তি হবে সেটা সরকারের সিদ্ধান্তের ব্যাপার। অর্থমন্ত্রণালয় থেকে চিঠি পেলে তা জানানো যাবে। তবে তাঁরা এর কাজ শুরু হয়েছে। শিগগিরই আবেদন নেওয়া হবে।
তবে এমপিওভুক্তির দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষকনেতা গোলাম মাহমুদুন্নবী বলেন, হাজারখানেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হলে তাঁরা মানবেন না। তাঁরা চান স্বীকৃত পাওয়া সব প্রতিষ্ঠানকে এমপিওভুক্ত করা হোক।
বর্তমানে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় ৫ লাখ। তাঁদের বেতন-ভাতা বাবদ মাসে খরচ হয় প্রায় সাড়ে নয় শ কোটি টাকা। এর বাইরে স্বীকৃতি পাওয়া নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে ৫ হাজার ২৪২টি। সূত্র: প্রথম আলো
আপনার মতামত লিখুন :