উম্মুল ওয়ারা সুইটি : আজ বিশ্ব বাস্তুচ্যুত দিবস। ২০১৭ সালে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের উৎস দেশ হিসেবে চতুর্থ অবস্থানে উঠে আসে মিয়ানমার। দেশটি রাখাইনে জাতিগত নিধনের মতোই রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে উচ্ছেদ করেছে। ২০১৭ সালে বিশ্বব্যাপী বাস্তুহারা মানুষের গন্তব্য হিসেবে শীর্ষস্থানে ছিল তুরস্ক। দেশটিতে আশ্রিত উদ্বাস্তুর সংখ্যা ৩৫ লাখ। ১৪ লাখ উদ্বাস্তুর আশ্রয়দাতা হিসেবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে পাকিস্তান ও উগান্ডা।
ইউএনএইচসিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের শুরুতে দেশটির বাসিন্দাদের মধ্যে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সংখ্যা ছিল ৫ লাখেরও কম। বছরের শেষে তা দ্বিগুন হয়ে যায়। বর্তমান এই সংখ্যা ১২ লাখ। দেশটি থেকে বাস্তুচ্যুত হওয়া মানুষের সিংহভাগেরই আশ্রয়স্থল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বাইরে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত মানুষের আরেক গন্তব্য থাইল্যান্ড। দেশটিতে আশ্রয় নেয়া বর্মি উদ্বাস্তুর সংখ্যা এক লাখ। এছাড়া মালয়েশিয়া ও ভারতে আশ্রয় নিয়েছে যথাক্রমে আরো ৯৮ হাজার ও ১৮ হাজার ১০০ উদ্বাস্তু।
প্রতিবেদনে বা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী গত বছর প্রতিদিন গড়ে ৪৪ হাজার মানুষ সহিংসতাকবলিত হয়ে বাস্তুচ্যুত হয়েছে। সব মিলিয়ে গত বছর নতুন করে বাস্তুহারা হয়েছে ১ কোটি ৬২ লাখ মানুষ। উদ্বাস্তু অবস্থায় নিজ দেশের সীমানার মধ্যে রয়ে গেছে এদেও বেশিরভাগ, এরা মানবেতর জীবন যাপন করছে। অন্যদিকে নিজ দেশের সীমানা ত্যাগ করে আশ্রয়ের খোঁজে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছে ৪৪ লাখ মানুষ।
আপনার মতামত লিখুন :