সান্দ্রা নন্দিনী: বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় মেহভিশ আরশাদ নামে পাকিস্তানি এক তরুণীকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। নিহত মেহভিশের বয়স ছিল মাত্র ১৯ বছর।
জানা যায়, মেহভিশ আরশাদ বাস কোম্পানিতে চাকরি করতেন। ওই বাস কোম্পানির এক নিরাপত্তা কর্মী তাকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে, তিনি ‘না’ বলেছিলেন। নিরাপত্তা ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিওচিত্র থেকে দেখা যায়, কাজ শেষে বাসায় ফেরার সময় ওই নিরাপত্তা রক্ষী মেহভিশের সঙ্গে কথা বলছিল। মেহভিশ তার হাত ছাড়াবরা চেষ্টা করছিলেন। এক মুহূর্তের মধ্যে ওই নিরাপত্তা কর্মী বন্দুক বের করে গুলি চালিয়ে দেয়।
পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও টিভি জানিয়েছে, ঘটনাস্থলেই মেহভিশের মৃত্যু হয়। উমার সেখান থেকে পালাবার চেষ্টা করলেও বাস কোম্পানিটির অন্যান্য কর্মীরা তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পাকিস্তানের অনেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। চিকিৎসক উজমা টুইটারে লিখেছেন, ‘না বলতে পারাটা পাকিস্তানে কঠিন বিষয়। যাকে আপনার ভালো লাগে না তাকে সে কথা আপনি বলতে পারবেন না। কারণ আপনি নারী।’
সাংবাদিক জোফেন ইব্রাহিম প্রশ্ন রেখেছেন, ‘আর কতদিন দোষীরা ছাড় পেতে থাকবে?’ আহসান ইফতেখার নাগির টুইট, ‘আমার মনে হয় প্রাথমিক স্তর থেকেই থেকেই লিঙ্গ সমতার বিষয়ে কোর্স করানো উচিত।’ গাল্ফ নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :