মো. জাকির হোসেন : বেগম জিয়াকে যেমন জামিন দেওয়া হচ্ছে না, ঠিক তেমনিভাবে তাকে চিকিৎসাও দেওয়া হচ্ছে না। আমি মনে করি, এখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে। সুপরিকল্পিতভাবে বেগম জিয়ার সাথে এরকম আচরণ করা হয়েছে। রাজনৈতিক সচেতন মানুষ হিসেবে সকলেই সরকারের এই পরিকল্পনা বুঝতে পেরেছে। আমি এর তীব্র নিন্দা করেছি। সরকার যদি তাদের খুব জনপ্রিয় মনে করে, তাহলে বেগম জিয়াকে মাঠে ছেড়ে দেখুক। মাঠে ছেড়ে দিয়ে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যবস্থা করুক। তাহলেই তো তাদের জনপ্রিয়তা কতটুকু সেটা প্রমাণ হয়ে যাবে। জনগণ সকল ক্ষমতার মালিক।
সুতরাং জনগণকেই এই ভার দেওয়া উচিত। তা না করে যদি পাঁতানো বিচার করে সাজানো রায় দিয়ে, আমার মনে হয় তাকে জেলে রাখা যাবে কিন্তু বেগম জিয়ার জনপ্রিয়তা বিন্দুমাত্র কমবে না। ২০১৪ সালের নির্বাচন আসলে কোন নির্বাচন নয়। মানুষ সেখানে ভোট দিতে যায়নি। আমরা দেখেছি, যারা নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিলেন তারা কিভাবে নাক ঢেকে ঘুমিয়ে ছিলেন। আমরা এটাও দেখেছি, যে কেন্দ্রে মানুষ যাবার কথা ভোট দিতে, সে কেন্দ্রে কুকুর গিয়ে ঘুমিয়েছে। সুতরাং সে নির্বাচন সুষ্ঠ হয়নি। যখন কোন বাঘ কোন হরিণ শিকার করে এবং সে হরিনের রক্ত সে পান করে, তখন সে বাঘটি কিন্তু আরো বেশি হিং¯্র হয়ে পড়ে। আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে পড়ে।
আমার মনে হচ্ছে যে, বর্তমান সরকার ২০১৪ সালে যে ভোটহীন নির্বাচন করে ক্ষমতায় এসেছে এবং ক্ষমতার যে স্বাদটা তারা পান করছে এবং সেই ধারা অনুসারে বর্তমান সরকার আগামী নির্বাচন কিভাবে একতরফা করা যায় সে জন্য পরিকল্পনা করছে । ওই বাঘের মতো তারা আরো বেশি মাংশাসি হয়ে পড়েছে। তারা আরো বেশি হিং¯্র হয়ে পড়েছে। তারা মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিতে চাচ্ছে। আমি মনে করি এই পরিকল্পনা সাময়িক ভাবে সফল হলেও সুদুরপ্রসারি হবে না। জনগণের সমর্থন ছাড়া কোন সরকারই কখনও জনপ্রিয় হতে পারে না এবং দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা যায় না।
পরিচিতি : ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব, শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোট / মতামত গ্রহণ : মো. এনামুল হক এনা / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :