নুরুল হক নুর : সারা দেশের লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন এর পরিপ্রেক্ষিতে ৯ এপ্রিল সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দল আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ১৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সাথে মিটিং এ ৭ মে এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের ৫ দফার আলোকে কোটা সংস্কার করে প্রজ্ঞাপন জারির আশ্বাস দেন। শিক্ষার্থীরাও ৭ মে পর্যন্ত আন্দোলন স্থগিত করে। কিন্তু কোটা সংস্কার নিয়ে সরকারের কয়েকজন মন্ত্রীর ভিন্ন বক্তব্য ও আন্দোলনকারী সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বাজে মন্তব্যের কারণে সারা দেশের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে এবং আবার আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়।
যার পরিপ্রেক্ষিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ১১ এপ্রিল মহান জাতীয় সংসদে কোটা বাতিল এর যুগান্তকারী ঘোষণা দেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন হবে, সরকারের পক্ষ থেকে বার বার এমন আশ্বাস দেওয়ার ২ মাস ৯ দিন পার হলেও এখন পর্যন্ত সংস্কার বা বাতিল কোন প্রজ্ঞাপন দেওয়া হয়নি। যেটা ছাত্রদের উত্তপ্ত আন্দোলন থামিয়ে তামাশার শামিল। তবে ছাত্রদের সাথে তামাশা কিংবা প্রতারণা করা হলে ছাত্রসমাজও তার উচিত জবাব দিবে। ছাত্র ভাই ও বোনেরা একটা কথা মনে রাখবেন, সারা দেশের শিক্ষার্থীদের সমর্থন ও অংশগ্রহণের পরও যদি আমরা এইবার দাবি আদায় করতে না পারি, তাহলে এদেশের মানুষ আর কোনো ন্যায়সঙ্গত দাবি নিয়ে আন্দোলন করার সাহস পাবে না। অনেক ছাড় দিয়েছি, সময় দিয়েছি। আর নয়।
৮, ৯, ১০, ১১ ই এপ্রিলের মতো সারা দেশে আবার ছাত্র আন্দোলনের ভূমিকম্প সৃষ্টি করতে হবে। দেখিয়ে দিতে হবে ন্যায়সঙ্গত দাবি-দাওয়া আদায়ে ছাত্রসমাজ সব সময়ই অটুট আছে। ছাত্রসমাজ প্রস্তুত হও, এবার প্রজ্ঞাপন নিয়েই ঘরে ফিরবো ইনশাআল্লাহ।
পরিচিতি : যুগ্ম আহবায়ক, সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ / মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা / সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :