নূরে আলম আল আমিন : স্বাভাবিকভাবে মাদকাসক্তরা সমাজের এবং পরিবারের বোঝা হয়ে রাষ্ট্রীয় সমস্যায় পরিণত হয়। এ সমস্যার কারণে সমাজে চুরি, ডাকাতি, বিশৃঙ্খলা, খুন, রাহাজানি সহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজ বেড়ে যায়। শুধু তাই নয়, তাদের অপকর্মের কারণে সন্ত্রাস বাড়ে। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে এবং ধর্ম-কর্মের বিরুদ্ধে কাজ করতে ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। কোন ধর্মই নেশাগ্রস্তদের এবং নেশা- খোরদের কোনো ছাড় দেয় না । পরিবারে মাতা-পিতা একটি পরিবারের অভিভাবক।
তাদের আচার-আচরণ, শিক্ষা, ধর্মীয় মূল্যবোধের মাধ্যমে একটি সুন্দর-সুখী পরিবার গড়ে তোলা সম্ভব। পরিবারের বয়োজ্যেষ্ঠদের এবং মাতা-পিতার অসাবধানতার কারণে ধীরে ধীরে একটি পরিবার ধ্বংস হয়ে যেতে পারে। অশিক্ষিত, দরিদ্র এবং শিক্ষিত বেকারদের মধ্যে মাদকের প্রবণতা বেশী থাকে। মাতা-পিতার অবহেলা, পারিবারিক ভাবে অ-বন্ধুসুলভ আচরণে কঠোর ভূমিকা গ্রহণ, অবাধ চলাফেরার সুযোগ, খারাপ বন্ধু-বান্ধবের সাথে অবাধভাবে চলাফেরার কারণে ঐশী নিজের সুন্দর জীবন ধ্বংস করেছে। নিজের সাময়িক রঙিন মুহূর্তকে গুরুত্ব দিয়েছে। এভাবে নিষ্ঠুর নির্মম আচরণে একটি পরিবার চিরতরে ধ্বংস হয়ে গেল। উপসংহারে বলতে চাই, মাদকাসক্তি একটি সামাজিক ব্যাধি।
মাদকমুক্ত যুব সমাজ গঠনে আমাদের করণীয় সমাজের সকল ধরনের মাদক বিরোধী অভিযানের সাথে ছাত্র ও যুবকদেরকে সম্পৃক্ত করা। নিজ নিজ এলাকায় মাদক চোরাচালান, বিক্রয় ও বিতরণের ঘাটি উচ্ছেদ কার্যক্রমে সক্রিয় অংশগ্রহণ করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মাদক বিরোধী সভা, সমাবেশ, র্যালি, রচনা ও বিতর্ক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মাদক বিরোধী আইন প্রয়োগে সচেষ্ট থাকা এবং মাদক সরবরাহকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করা।
পরিচিতি : শিক্ষার্থী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/ মতামত গ্রহণ : নৌশিন আহম্মেদ মনিরা/ সম্পাদনা : মোহাম্মদ আবদুল অদুদ
আপনার মতামত লিখুন :