শিরোনাম
◈ এলডিসি উত্তরণের পর সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়ার প্রস্তুতি নিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ◈ ড. ইউনূসকে নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর বক্তব্য দুঃখজনক: আইনজীবী  ◈ ত্রিশালে বাসের ধাক্কায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রসহ অটোরিকশার ৩ যাত্রী নিহত ◈ জলদস্যুদের হাতে জিম্মি জাহাজ মুক্ত করার বিষয়ে  সরকার অনেক দূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী  ◈ এসএসসি পরীক্ষায় আমূল পরিবর্তন, বদলে যেতে পারে পরীক্ষার নামও ◈ পঞ্চম দিনের মতো কর্মবিরতিতে ট্রেইনি ও ইন্টার্ন চিকিৎসকরা ◈ অর্থাভাবে পার্লামেন্ট নির্বাচনে লড়বেন না ভারতের অর্থমন্ত্রী ◈ কখন কাকে ধরে নিয়ে যায় কোনো নিশ্চয়তা নেই: ফখরুল ◈ জনপ্রিয়তায় ট্রাম্পের কাছাকাছি বাইডেন ◈ আদালত থেকে জঙ্গি ছিনতাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নতুন তারিখ ৮ মে

প্রকাশিত : ২০ জুন, ২০১৮, ১২:১৫ দুপুর
আপডেট : ২০ জুন, ২০১৮, ১২:১৫ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়ন হলে ১০ শতাংশ জিডিপি কোন শক্তি আটকাতে পারবে না’

সাইদ রিপন : পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পদ্মা সেতুসহ মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হলে ১০ শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি কোন শক্তিই আটকাতে পারবে না। আগামী ২০২৮-২৯ সালে আমরা এই লক্ষ্য অর্জন করতে সক্ষম হবো। তার আগে ২০২০ সালের মধ্যে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা সম্ভব হবে। তবে এই ৮ থেকে সাড়ে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি আমাদের ধরে রাখতে হবে কমপক্ষে তিন বছর। এজন্য সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করে যেতে হবে।

মঙ্গলবার বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় ও কমিশনের সংস্থাগুলোর মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে সরকারি কাজে স্বচ্ছতা, দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি, সীমিত সম্পদের সদ্ব্যবহার এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়ন।

পরিকল্পনা সচিব জিয়াউল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) এ এন সামসুদ্দিন আজাদ চৌধুরী, শামীমা নার্গিস, জুয়েনা আজিজ এবং পরিসংখ্য্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব সৌরেদ্রনাথ চক্রবর্তী প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগ, বাস্তবায়ন,পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ, শিল্প ও শক্তি বিভাগ, ভৌত অবকাঠামো বিভাগ, কৃষি,পানি সম্পদ পল্লী প্রতিষ্ঠান বিভাগ, এনএপিডি, বিআইডিএসসহ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিভিন্ন সংস্থা প্রধানদের সঙ্গে ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, এটা নিছক একটি চুক্তি নয়, এটা শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিকতাও নয়, এটি হচ্ছে নিজের বিবেকের কাছে নিজের পরীক্ষা। তবে এ কথা সত্য যে, কাজ করার জন্য অনেক লোকের প্রয়োজন হয় না। আকাশে লক্ষ তারা রয়েছে কিন্তু একটি চাঁদের আলোয় সারা পৃথিবী আলোাকিত হয়।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, আপনারা একেকজন একেকটি চাঁদ। আপনাদের কাজ এবং আলোয় আলোকিত হবে চারদিক। আমাদের গতানুগতিক ধারা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। আগামীতে শিক্ষা ও রাজস্ব খাতের ব্যাপক সংস্কার করা হবে। শিক্ষাকে যুগোপযোগী ও বাস্তসম্মত করা হবে। আর রাজস্ব আদায় এমন হতে হবে যাতে বেশি লোক করের আওতায় আসবে এবং করের হার কম হবে। তাহলে একদিকে যারা কর দেন তাদের উপর চাপ কমবে, অন্যদিকে সরকারের রাজস্ব আদায়ও বাড়বে। করের হার কমিয়েও কর রাজস্ব আদায় ১৫ শতাংশে নিয়ে যাওয় সম্ভব। মন্ত্রী আরও বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে লাইন মিনিষ্ট্রিগুলোকে দায়িত্ব পালন করতে হবে। চেষ্টা করার পরও যদিও তারা ব্যর্থ হয়, সেই দায়িত্ব দিন শেষে আমাদের কাঁধে এসে পড়ে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়