শেখ নাঈমা জাবীন: আসামের হাইলাকান্দি ও হোয়াই জেলায় ঝড় ও বৃষ্টিপাতের কারণে অন্তত ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম, ত্রিপুরা ও মণিপুরে গত সপ্তাহের ভারী বৃষ্টিপাত বন্যা এবং ভূমিধস সৃষ্টি করেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, বন্যায় আসামের নাগান, হোয়াই, গোলাঘাট, কাছার, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জ জেলার প্রায় ৫,৪৮,৯৮৩ জন অধিবাসী মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আসামের করিমগঞ্জ জেলার কুশিয়ারা, বারাক ও লঙ্গাই নদীগুলিতে পানি বৃদ্ধির জন্য সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। সোমবার ভারতীয় বিমান বাহিনী ত্রিপুরার কৈলাশহর এবং হাইলাকান্দির বন্যাদূর্গত এলাকায় মোট ৮ টন ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করে। ভারতের কেন্দ্রীয় পানি উন্নয়ন সংস্থা জানায়, ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি প্রতি ঘন্টায় ৪-৫ সেমি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং আগামী ২-৩ দিনের মধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করবে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
বন্যাকবলিত বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুত সরবরাহ বিঘিœত হয়েছে এবং স্কুল কলেজ ও সরকারী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে।অত্যধিক বন্যায় এক লাখেরও বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষ অস্থায়ী ত্রাণ ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে বন্যাদুর্গত রাজ্যগুলিকে সবধরনের সহায়তা দেয়ার আশ্বাস দেন ।
এদিকে ভারতীয় সেনাবাহিনী ত্রিপুরার কৈলাশহর, ইন্দিরানগর, ফাতিকরায়, সান্তাইল, কুমারঘাট থেকে ৯৫০জনেরও বেশি লোককে উদ্ধার করে । এছাড়াও কৈয়লাশহরে স্থাপিত সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ত্রাণ শিবিরে ২০০০ এরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছে। ইয়ন নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :