সাজিয়া আক্তার : ইয়াবায় আসক্ত হচ্ছে রাজধানীর ছিন্নমূল শিশুরাও। নেশার টাকা যোগার করতে জড়িয়ে পরছে চুরি ছিনতায়ের মতো অপরাধে। শিশুদের ইয়াবা আসক্তি তথ্য মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে থাকলেও নির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান নেই। এব্যপারে শিশুদের নিয়ে কাজ করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থাগুলোকে তৎপর হওয়ার আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বয়স বড়জোর ৭ থেকে ৮, এই বয়সে স্কুলের বন্ধুদের সাথে খেলায় মেতে উঠার কথা। কিন্তু এই শিশুরা মেতেছে ইয়াবার নেশায়। প্রাপ্ত বয়স্কদের মতই এরা মেতেছে মাদকের আড্ডায়। কিন্তু কিভাবে এতো সহজে ইয়াবার মতো ভয়ঙ্কর মাদক এরা হাতের কাছে পেয়ে যাচ্ছে?
ইয়াবা যোগার করতে এই শিশুরা লিপ্ত হচ্ছে মানুষের পকেট কাটাসহ মোবাইল চুরির মতো অপরাধে।
ইয়াবা আসক্ত শিশুরা জানান, আমরা টেম্পু স্টেনে গিয়ে সেখানে মহিলাদের বেগ ছিনতাই করি। তারপর সেই বেগ থেকে চেকবই নিয়ে কামারের কাছে দেই। কামার আমাদের ইয়াবা দেয়। কাজ না করলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেয়। আবার আমাদের ছাড়িয়ে আনে আর বলে তোদের ১০ হাজার টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে এনেছি, তোরা কাজ না করলে আবার ধরিয়ে দিবো।
শিশুদের চুরির জিনিস পত্রের বিনিময়ে তাদের হাতে তুলে দেয়া হয় ইয়াবা। আর এর অন্যতম হুতা মোহাম্মদপুরের বিহারি ক্যাম্পের কামরান। কামরানের দাবি শিশুরা মিথ্যা বলছে।
চোরাই মোবাইল কারবারি কামরান বলেন, ১ বছর আগে আমার এখানে কিছু শিশুরা থেকে বেচাকিনি করতো । ইয়াবার ব্যাপারে যা বলছে সব মিথ্যা কথা। তার জন্য আপনারা তদন্ত করতে পারেন। আমি খাই কিন্তু ব্যবসার ক্ষেত্রে আমি জড়িত না।
চুরির জিনিস পত্রের বিনিময়ে ছিন্নমূল শিশুদের ইয়াবায় জড়িয়ে পরার খবর জানা আছে মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরেরও।
মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মহাপরিচালক জামান উদ্দিন আহমেদ বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা শিশুদের কেরিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছে। এই কেরিয়ার হিসেবে ব্যবহৃত হতে হতে এক সময় শিশুরা নিজেরাই ইয়াবায় আসক্ত হচ্ছে। মাদকাসক্ত পথশিশু একএকজন বড় অপরাধী হিসেবে গড়ে উঠছে।
এব্যপারে সরকারের সমাজ কল্যান মন্ত্রণালয়সহ সরকারি-বেসরকারী সংস্থাগুলোকে তৎপর হওয়ার আহবান জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্র : একাত্তর টেলিভিশন
আপনার মতামত লিখুন :