সৌরভ কুমার ঘোষ, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ ঈদের দিন শশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে জামাই আল আমিন হামলার শিকার হয়ে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রাজারহাট উপজেলার উমর মজিদ ইউনিয়নের পান্থা পাড়া গ্রামে।
জানা গেছে- ঘটনাস্থলের বাসিন্দা আক্কাস আলী মন্ডলের মেয়ে জামাই আল আমিন ঈদের দিন তার স্ত্রীকে নিয়ে শশুর বাড়ি বেড়াতে যায়। সে তার স্ত্রীকে শশুর বাড়িতে রেখে মটর সাইকেল যোগে নিজ বাড়ী কুড়িগ্রাম শহরতলীর ভেলাকোপা এলাকায় আসার পথে হামলাকারীরা তাদের বাড়ীর সামনে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকে। জামাই আল আমিন তাদের বাড়ীর সামনে পৌঁছা মাত্র হামলাকারীরা তার পথ রোধ করে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে তার উপর বর্বরোচিত হামলা চালায়। হামলাকারীরা জামাই আল আমিনের ডান হাতের কব্জিতে আঘাত করে তার গলা টিপে ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। এসময় হামলাকারীরা তার গলায় থাকা আট আনা ওজনের সোনার চেইন, প্যান্টের পকেটে থাকা চাউল বিক্রির নগদ ত্রিশ হাজার টাকা এবং একটি স্যামসাং গ্লাক্সি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে আল আমিনের স্ত্রী আফরিন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা তারও গলায় থাকা দেড় ভরি ওজনের একটি সোনার হার ছিনতাই করে।
এঘটনায় আহত জামাই আল আমিনের বড় ভাই লাবলু মিয়া বাদী হয়ে হামলাকারী হাফিজুর রহমান, হারুন মিয়া, হামিদুল ইসলাম, আহাম্মদ আলী মন্ডল, আকবর আলী মন্ডল, মর্জিনা বেগম ও রঞ্জিনা বেগমকে আসামী করে গত
১৭ জুন রাজারহাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১৬।
আহত জামাই আল আমিন জানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে আমি একটি জোরপুর্বক ধানকাটার মামলা করেছিলাম। যার জিআর নং ৬৫/১৮। ওই মামলায় হামলাকারী হারুন মিয়া ১১ দিন হাজতবাস খেটে জামিনে বেড়িয়ে এসে ওরা আবারো ঈদের দিন আমার উপর হামলা চালালো। আমি এঘটনার বিচার উপযুক্ত বিচার চাই।
আপনার মতামত লিখুন :