ডেস্ক রিপোর্ট : এয়ারওয়েজের টিকিট দিতেও হিমশিম খাচ্ছে কোম্পানিগুলো। ঈদ উদযাপন শেষে রাজধানী ঢাকাগামী যাত্রীরা অনেকে আকাশ পথকে বেছে নিলেও টিকিটের জন্য যেন হাহাকারে পড়েছেন তারা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২৩ জুন পর্যন্ত তাদের হাতে টিকিট নেই বললেই চলে। সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে সরকারি-বেসরকারি মিলে ৯টি ফ্লাইট চলাচল করলেও তা দিয়ে যাত্রী চাহিদা মেটাতে পারছে না কোম্পানিগুলো। এমতাবস্থায় অতিরিক্ত ফ্লাইট চালুর দাবি কোম্পানিগুলোর।
সৈয়দপুর বিমানবন্দর সূত্র জানায়, ঈদের আগে ৯টির পাশাপাশি আরো ৩টি অতিরিক্ত ফ্লাইট ঢাকা থেকে সৈয়দপুর রুটে যাত্রী নিয়ে এলেও ঈদের পর সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে বিশেষ ফ্লাইট বন্ধ করে দেয় এয়ারওয়েজ কোম্পানিগুলো। যার ফলে এখন নিয়মিত ৯টি ফ্লাইট চলাচল করছে এই রুটে।
ঈদের আগে বাংলাদেশ বিমান ১টি, ইউএস-বাংলা ১টি, নভোএয়ার ১টি বিশেষ ফ্লাইট চালু করে ঢাকা থেকে সৈয়দপুর রুটে। যেগুলো ঈদের পর আর থাকেনি।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নীলফামারী জেলা ব্যবস্থাপক আবু আহমেদ জানান, ঈদের আগের দু’দিন বিশেষ একটি করে ফ্লাইট যাত্রী নিয়ে আসে ঢাকা থেকে সৈয়দপুরে। ঈদের পর আর ফিরতি বিশেষ ফ্লাইট চালু নেই সৈয়দপুর-ঢাকা রুটে। ৭৪ আসন বিশিষ্ট একটি ফ্লাইট এখন এই রুটে চলাচল করছে।
মাওয়া ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনালের স্বত্বাধিকারী মমিনুল ইসলাম মিঠু জানান, ঈদের কারণে ২৩ তারিখ পর্যন্ত টিকিটের জন্য যাত্রীদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। সর্বোচ্চ দরে ৮২০০ থেকে ৯৫০০ টাকা পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হচ্ছে, অথচ অন্যান্য সময় ২৭০০ টাকা থেকে শুরু করে ৮২০০ টাকা পর্যন্ত দরে টিকিট পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, দৈনিক যদি ২০টি ফ্লাইট এই রুটে যায় তাহলে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যাবে। যাত্রী চাহিদাও মেটানো যাবে।
সিফাত ট্যুর অ্যান্ড ট্রাভেলসের স্বত্বাধিকারী জহুরুল ইসলাম জানান, ঈদের পর আরো কয়েক দিন বিশেষ ফ্লাইট রাখা খুব দরকার ছিল। কারণ রংপুর অঞ্চলের গেটওয়ে সৈয়দপুর। অনেক ব্যক্তি রয়েছেন ঢাকা যাওয়ার জন্য।
তিনি বলেন, আমাদের কাছে টিকিট চাচ্ছেন কিন্তু আমরা দিতে পারছি না। আরেকটা বিষয় সর্বোচ্চ দর হওয়ায় অনেক হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছেন তারা
সচেতন নাগরিক কমিটি (সনাক) সভাপতি প্রকৌশলী সফিকুল আলম ডাবলু জানান, নীলফামারী এখন শিল্পাঞ্চলে পরিণত হচ্ছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি আছেন রংপুর অঞ্চলে। তারা সবাই আকাশপথ ব্যবহার করছেন। পাশাপাশি মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা এমনকি জরুরি প্রয়োজনে অনেকে আকাশপথকে ব্যবহার করছেন, সে কারণে সৈয়দপুর বিমানবন্দর গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। ফলে যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে আরো ফ্লাইট বাড়ানো প্রয়োজন।
জানতে চাইলে সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক শাহিন আহমেদ জানান, ঈদের আগে বাংলাদেশ বিমানসহ কয়েকটি উড়োজাহাজ কোম্পানি বিশেষ ফ্লাইট চালু করে যাত্রীসেবা দিয়েছে কিন্তু ঈদের পর সেটি আর নেই। এখন নিয়মিত নয়টি ফ্লাইট চলাচল করছে আগের নিয়মে।
সূত্র : পরিবর্তন
আপনার মতামত লিখুন :