এস এম সবুজ: প্রায় দুই কোটি মানুষের ঢাকা মহানগরী এখনো বেশ ফাঁকা।স্বাভাবিক কর্মদিবস হলেও নেই যানজটের দৃশ্য। তবে রাজধানীর বিভিন্ন দর্শনীয় স্থান ঘিরে ছিল যানবাহন আর মানুষের ভিড়। ঈদের সরকারি ছুটি ছিল তিন দিন। ছুটি শেষ হওয়ার আগেই যানজট এরাতে বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকামুখী মানুষের ভিড় দেখা গেছে আজ বাস,রেলস্টেশন, ও লঞ্চ ঘাটে। তবে বাড়তি ছুটি নিয়ে বাড়ি যাওয়া মানুষেরা ফিরবে ধীরে ধীরে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক সপ্তাহের আগে স্বাভাবিক চাঞ্চল্য ফিরবে না রাজধানীতে। বৃহস্পতিবার থেকে ঈদেরদিন বিকাল পর্যন্ত সদরঘাটে আধাঘণ্টা পর পর লঞ্চ ছেড়ে যাচ্ছিল কিন্ত মানুষভর্র্তি লঞ্চ ফিরতে দেখা গেছে রোববার।
কমলাপুর রেলস্টেশনে খোঁজ নিয়ে জানা যায় ঈদের দিনও বাড়ি ফেরার ভিড় ছিল, তবে রোববার কম সংখ্যায় হলেও অনেকেই ঢাকা ফিরে আসছেন। । স্বল্প সময়ের জন্য হলেও পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ করতে পারায় তারা খুশি। ঢাকামুখী প্রতিটি ট্রেনই ফিরেছে যাত্রী নিয়ে। ফিরতি যাত্রীদের জন্য বিশেষ ট্রেন সার্ভিস পরিচালনা করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। যত দিন যাত্রীর চাপ থাকবে তত দিন পর্যন্ত ট্রেনের বিশেষ সেবা চলবে বলে জানিয়েছেন কমলাপুর স্টেশন কর্মরত ম্যানেজার।তিনি বলেন, ‘ঈদের আগে মানুষকে নিরাপদে যেভাবে বাড়ি পৌঁছে দিয়েছি সেভাবেই নিরাপদে কর্মস্থলে ফিরিয়ে আনার সব প্রস্তুতি রয়েছে।
সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল সূত্রে জানা যায়, প্রতিদিন দক্ষিণাঞ্চলের ৪৪টি রুটে ৯০-৯৫টি লঞ্চ চলাচল করছে। ঈদের আগের দিন থেকে বিআইডাব্লিউটিএ, লঞ্চ মালিক সমিতি বিশেষ লঞ্চের ব্যবস্থা করেছে। গতকাল দুপুরে বরিশাল থেকে আসা রাইহান হোসেন বলেন, ‘ঈদের আগে সদরঘাট টার্মিনালে যাত্রীদের সীমাহীন ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। সে তুলনায় ফেরার সময় ভোগান্তিতে পড়তে হয়নি। অনেকটা আরামেই ঢাকা ফিরতে পেরেছি।’
অন্যদিকে গাবতলীতে কথা হয় রাজশাহী থেকে আসা আল-মামুন নামের এক যাত্রীর সঙ্গে। তিনি জানান ফিরতে তেমন যানজটে পড়তে হয়নি। রাস্তা এখন ফাঁকা থাকায় আমাদের আসতে তেমন কোন যানজটে পড়তে হয়নি। আমি বুধবার বাড়িতে গিয়েছিলাম যানজট এরাতে তাড়াতাড়ি ফিরে আসলাম।
আপনার মতামত লিখুন :