নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন বিকেলে হালকা বৃষ্টি হওয়ায় অনেকে ঘর থেকে বের হননি। কিন্তু বৃষ্টি শেষ হওয়ার পরই ভোজনরসিকরা রাস্তায় বিভিন্ন স্ট্রিটফুডের দোকানে ভিড় জমান।
শনিবার ঢাকার মিরপুরের সাগুফতা এম এন হাউজিং এলাকায় এ চিত্র চোখে পড়ে। সেখানকার বিসমিল্লাহ কাবার ঘরে দেখা যায়, চেয়ার পরিপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের কাবাবের স্বাদ নিতে লোকজনের ভিড়।
এ কাবারঘরের খাবার পরিবেশনকারী বেলাল জানান, রোজার একমাস বেশি লোকজন আসেনি। কিন্তু আজ ঈদ হওয়ায় তাদের বিক্রি বেড়ে গেছে। এনটিভি অনলাইন
বেলাল জানান, এখানে শিক কাবাব, বট, তিল্লি কাবাব, খিড়ি, বিফ চাপ, মগজ ফ্রাই, কবুতর, কবুতর বারবিকিউ, কোয়েল বারবিকিউ, চিকেন বারবিকিউ, চিকেন চাপ, কাকড়া ভুনা বারবিকিউ, লুচি, তেলাপিয়া মাছ বারবিকিউ, চিংড়ি মাছ বারবিকিউ, কৈ মাছ বারবিকিউ ও আলু সিদ্ধ রয়েছে। এসব খাবার ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০ টাকা দামের মধ্যে রয়েছে বলে জানান তিনি।
এছাড়া সাগুফতায় শর্মা হাউজ, উপভোগ কাবাব ঘর, আলী হোসেন চাচার শিক কাবাব, মোমো স্টেশন, উপভোগ ফুডকোর্ট, চিলার্স, সাবহাব, মাম্মি শেফ ও বিভিন্ন ধরনের চায়ের দোকান রয়েছে।
নাদিম নামের এক চা দোকানি জানান, তার দোকানে সব সময় ভিড় লেগে থাকে। দোকানে ৩০ ধরনের চা পাওয়া যায়। ঈদের দিনে ব্যবসা খুব ভালো বলে জানান তিনি।
নাদিম জানান, তেঁতুল চা, মরিচ চা, মাল্টা চা, পাকা ও কাচা আমের চা, বেল চা, বিট লবণের চা, গুরের চা, মালাই চা, দুধ চা, জলপাই চাসহ বিভিন্ন ধরনের চা রয়েছে। এসব চায়ের দাম ১০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ টাকা।
বেড়াতে আসা রাতুল নামের এক ব্যক্তি জানান, তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি করেন। বাসা মিরপুর হওয়ায় পরিবার নিয়ে সাগুফতায় খেতে এসেছেন।
রাতুল জানান, সন্ধ্যার পরে এখানে অন্যরকম পরিবেশ তৈরি হয়। ঢাকার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে মানুষ খাবারের স্বাদ নিতে আসে। এছাড়া এখানকার ঠাণ্ডা বাতাসে মনটা বিমোহিত করে তোলে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
টিটু নামের আরেক ব্যক্তি জানান, পল্লবী এলাকায় তিনি থাকেন। বৃষ্টির কারণে ঘুরতে বের হতে না পারায় সন্ধ্যায় বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নিতে মিরপুরের সাগুফতায় এসেছেন।
টিটু জানান, এখানে অনেক ধরনের মজাদার খাবার পাওয়া যায়। একমাস রোজা থাকার পরে আজ বন্ধুদের সঙ্গে খাবারের মজা নিতে এসেছেন। এছাড়া এখানকার চায়ের স্বাদই আলাদা।
আপনার মতামত লিখুন :