নূর মাজিদ: ২০১৬ সালের মার্কিন নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারণা টিমের প্রধান পল ম্যানফোর্ডের জামিন না মঞ্জুর করে হাজতে পাঠিয়েছেন ভার্জিনিয়ার একটি আদালত। তবে, এদিন আদালত তার বিরুদ্ধে কোন রায় ঘোষণা করেননি। শুক্রবার মার্কিন নির্বাচনে রুশ গোয়েন্দা সংস্থার সম্পৃক্ততার গুরুত্বপূর্ণ আসামি হিসেবে ভার্জিনিয়ার ঐ আদালতে উপস্থিত হন ম্যানাফোর্ড।
তার বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের বিচার বিভাগের স্পেশাল কাউন্সাল রবার্ট মূল্যারের টিম আদালতের কাছে আর্থিক দুর্নীতি এবং রাষ্ট্রীয় আদর্শের বিরুদ্ধাচারণের মাধ্যমে রুশ গোয়েন্দাদের সাহায্য নিয়ে নির্বাচনকে ট্রাম্পের পক্ষে প্রভাবিত করার অভিযোগ দায়ের করে। তবে আদালতে হাজির হয়ে বিচারকের সামনে নিজেকে নির্দোষ বলে দাবী করেন ম্যানাফোর্ড। এসময় তার বক্তব্যের সত্য-মিথ্যা যাচাই করবার জন্য তাকে একটি বিশেষ যন্ত্র পরিধান করতে হয়। এরপর, ম্যানাফোর্ডের আইনজীবী তার জামিনের আবেদন করলে বিচারক অ্যামি বেরম্যান জ্যাকসন তার জামিন না-মঞ্জুর করে পল ম্যানা ফোর্ডকে মামলার রায় ঘোষণার আগে পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে থানা হাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এসময় তিনি বলেন, "এমন রায় দেবার পক্ষে আমার কোন অভিরুচি নেই, কিন্তু আমি চোখ বন্ধ করে থাকতে পারিনা। আপনার উপর যে বিশ্বাস রাষ্ট্র রেখেছিলো আপনি তা ভঙ্গ করেছেন।"
বিচারকের এমন আদেশের পর ম্যানাফোর্ডকে আদালত থেকে বের হবার সময় তার স্ত্রী এবং সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাসোজ্জ্বল ভঙ্গিতে হাত নেড়ে বিদায় জানাতে দেখা যায়। তবে আদালতের এই আদেশের প্রেক্ষিতে তার মুখপাত্র কোন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে অস্বীকার করেছেন।
এদিকে এই আদেশের তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তিনি বলেন, ম্যানাফোর্ডের প্রতি অত্যন্ত অবিচার করা হয়েছে। নিজের টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, 'বাহ বেশ, ম্যানাফোর্ডের বিরুদ্ধে কতো কথিন একটি রায় দিলেন।' তবে উল্লেখ্য, রিপাবলিকান দলের শীর্ষ সদস্য ও ব্যবসায়ি ম্যানাফোর্ডের বিরুদ্ধে কোন রায় দেননি আদালত। শুধুমাত্র তার জামিন না-মঞ্জুর করে তাকে রায় ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত হাজতবাসের আদেশ দিয়েছেন।
তবে সাবেক এই নির্বাচনী কর্মকর্তার আইনজীবীরা টুইটারে জানিয়েছে, আদালত সম্পূর্ণ একটি দলীয় ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় তাকে হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছেন। রয়টার্স
আপনার মতামত লিখুন :