শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৬ জুন, ২০১৮, ১১:৩২ দুপুর
আপডেট : ১৬ জুন, ২০১৮, ১১:৩২ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

‘আব্বার গায়ের সেই ঈদ ঈদ গন্ধ খুঁজি এখনো’

শাহনাজ খুশী : আমার আব্বা কোনদিন ২০/১৫ দিন আগে জামা কাপড় দিত না। সেসময় কেনা ড্রেস খুবই কম পাওয়া যেতো। দর্জির দোকানে মাপ দিয়ে জামা বানানো হতো। আশেপাশে সবার জামা হয়ে যেতো কিন্তু আমাদের কোন খবর নাই।ঈদের অনেক আগে যে ঈদের আনন্দে ভাসতো সবাই, তা কোনদিন হয়নি আমাদের বেলায়। ৫/৬দিন আগে ডাক পড়তো। আব্বা বলতো, যাও কাপড় দেখে দিয়ে আসছি, খুদু কাকার দোকানে মাপ দিয়ে আসো। আব্বা একটা প্রিন্টের কাপড় দিয়ে আসতো। আমাদের ভাই-বোনের জন্য একই ছিট কাপড়। ভাইও মেনে নিতো। মাপ দেবার পর থেকে কি আনন্দ ! সকালে-বিকালে খুদু কাকার দোকানে খোঁজ নিতাম। যেন জামাটা না পাওয়া পর্যন্ত ঈদ আনন্দ অধরা। চাঁদ রাতের আগে কোনদিন জামা পাইনি। তবুও কি যে আনন্দ হতো জামা পাবার পর। সে জামা বালিশের নিচে নিয়ে শুয়ে পড়তাম। কোনদিনও ঈদের আগের রাতে ঘুম আসতো না। কি ভীষণ উত্তেজনা নিয়ে সারারাত ছটফট করতাম।

ঈদের দিনটা মনে মনে হাজার ভাগে ভাগ করতাম, কখন কোন আনন্দ করবো! ভোরে কসকো/ তিব্বত সাবান দিয়ে গোসল করে, নতুন জামা পড়ে উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকতাম। আব্বা পাঞ্জাবী পড়ে উঠোনে নামলে শুরু হতো এক অভাবনীয় সুখের অধ্যায়। চাচা আর আব্বার কোন বিরোধ না থাকলেও দুইজন কেবল এই দুই ঈদেই কাছে আসতো। সবাই উঠোন জুড়ে দাঁড়িয়ে সালাম কোলাকুলি দেখতো। তারপর আব্বার সাথে ঈদ গাঁয়ে। আব্বা-চাচা, ভাইরা নামাজ পড়তো আর আমি প্রাচীরের উপর দিয়ে দেখতাম। নামাজ শেষ হলে আব্বার সাথেই বাড়ী ফিরতাম। আমি বাপ লাগা মেয়ে ছিলাম। ঈদের দিন আব্বার শরীর দিয়ে যে সাবানের গন্ধ পেতাম, কাপড়ে যে গন্ধ থাকতো, সেটায় ছিল আমার ঈদের গন্ধ, আনন্দের স্বাদ।

এখন ২/১ মাস আগে থেকে উপহার পেতে শুরু করি। কত দামী শাড়ী, সালোয়ার কামিজ, পারফিউম পাই। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা কার্ড পেয়ে যায় সময়ের আগেই। চারপাশ ভীষণ উৎসব মুখর হয়ে উঠে। ট্রেন, বাস, প্লেন সব আনন্দে ধারন ক্ষমতা হারিয়ে বসে। আর আমি ক্রমেই একা থেকে আরো একা হয়ে পড়ি! সব উৎসবের রংয়ের ভেতর আমি সেই উঠোনের সোনা রং খুঁজতে থাকি! পরম আবেগ ভরে খুঁজতে থাকি, আব্বার গায়ের সেই ঈদ ঈদ গন্ধ ! আমি ভুলে যায় মাটির নীচে থেকে সে গন্ধ আর কোনদিনই আমাকে ঈদের রংয়ে মাখাবে না! আব্বা,আপনাকে ছেড়ে এসে আর আমার ঈদ হয়নি। কোন ঈদের সকালে রং লাগে না। উৎসবের সব হট্টগোল ছাপিয়ে, সেই ডাক শোনার জন্য প্রতি ঈদে এখনো কান পেতে থাকি,‘যাও কাপড় দেখে দিয়ে আসছি, খুদু কাকার দোকানে মাপ দিয়ে আসো...........’

(অভিনেত্রী শাহনাজ খুশীর ফেসবুক থেকে নেওয়া)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়