তাদের প্রতিবেদনে ট্রাম্প আমলে বরখাস্ত কোমিকে ‘অবাধ্য’ অ্যাখ্যা দেওয়া হলেও হিলারি ক্লিনটনের ইমেইলকাণ্ডের তদন্তের ঘোষণা দিয়ে সাবেক এ এফবিআই পরিচালক ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট’ কিছু করেননি বলেও দাবি করা হয়েছে।
তদন্ত সংস্থার কাজে কোমি নিজের ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করেছিলেন বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ইমেইলকাণ্ড নিয়ে এফবিআই পরিচালকের তদন্তের ঘোষণাকে ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পরাজয়ের অন্যতম কারণ হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়ে আসছেন ডেমোক্রেট শিবিরের প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন।
ওই নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট হওয়ার কয়েক মাসের মাথায় কোমিকে বরখাস্ত করেছিলেন ট্রাম্প।
রিপাবলিকান শিবিরের সঙ্গে সম্ভাব্য ‘রুশ আঁতাতের’ তদন্তকেই কোমি তার বরখাস্তের কারণ বললেও ট্রাম্প ও তার প্রশাসনের কর্মকর্তারা এই অভিযোগ অস্বীকার করে আসছেন। কোমিকে বরখাস্ত করার ক্ষেত্রে ট্রাম্প ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন কিনা মার্কিন বিচার বিভাগের এক তদন্তে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে থাকাকালীন দাপ্তরিক কাজে ব্যক্তিগত ইমেইল ব্যবহার করে হিলারি কোনো অন্যায় করেছিলেন কিনা ২০১৬-র শেষভাগে তা নিয়ে তদন্তের কথা জানায় এফবিআই। ওই তদন্তের দেখভাল করতে গিয়েই কোমি ‘নাটকীয়ভাবে এফবিআই এবং বিচার বিভাগের রীতি’ ভেঙেছিলেন বলে জানান ইন্সপেক্টর জেনারেল মিকায়েল হরোউইৎজ।
এফবিআইয়ের বর্তমান পরিচালক ক্রিস্টোফার রে বিচার বিভাগের বহুল আকাঙ্ক্ষিত প্রতিবেদনটি মেনে নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। কোমির ‘রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্টতা’ কিংবা এফবিআইয়ের ‘ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয়েছে’ প্রতিবেদনে এমন কিছুর উল্লেখ নেই বলেও মন্তব্য রে-র।
আপনার মতামত লিখুন :