শিরোনাম
◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ জাতিসংঘে সদস্যপদ প্রস্তাবে মার্কিন ভেটোর নিন্দা ফিলিস্তিনের, লজ্জাজনক বলল তুরস্ক ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান

প্রকাশিত : ১৬ জুন, ২০১৮, ১২:২১ দুপুর
আপডেট : ১৬ জুন, ২০১৮, ১২:২১ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রাজধানীতে সহোদর ২ জেএমবি সদস্য আটক

সুজন কৈরী : রাজধানীর উত্তরার রাজলক্ষী মার্কেটে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সহোদর ২ জন সক্রিয় সদস্যকে আটক করেছে র‌্যাব-১১। গ্রেফতার দুইজন হলো- আলম মো. আনোয়ার আজিজ ওরফে অনু (৩৯) ও মো. আফছার আজিজ ওরফে অভি (৩৪)। গ্রেফতারকৃত আনোয়ার আজিজের বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও বন্দর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দুটি মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাব।

শুক্রবার বিকালে র‌্যাব জানিয়েছে, র‌্যাব-১১ এর একটি আভিযানিক দল বৃহস্পতিবার রাতে ওই দুইজনকে আটক করে।
র‌্যাব জানায়, আলম মো. আনোয়ার আজিজ ১৯৯৪ সালে রাজধানীর শুক্রাবাদের নিউ মডেল বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি, ১৯৯৬ সালে ঢাকা সিটি কলেজ থেকে এইচএসসি, ২০০০ সালে তেজগাঁও কলেজ থেকে ডিগ্রী ও ২০০৫ সালে জিগাতলার সি, আই, আই, টি অধীনে এমবিএ (হিউম্যান রির্সোচ ম্যানেজমেন্ট) সম্পন্ন করে। সে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন আইটি ফার্ম, গার্মেন্টসের চাকুরীসহ বিভিন্ন পেশায় নিয়োজিত ছিল। সর্বশেষ একটি মিষ্টির দোকানের ম্যানেজার হিসেবে কর্মরত ছিল। মো. আফছার আজিজ ২০০২ সালে শুক্রবাদের নিউ মডেল বহুমুখি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করে। এরপর সে লেখাপড়া না করে এমব্রয়ডারীর ব্যবসা শুরু করে। সর্বশেষ সে ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রাইভেট কার চালাত।
আনোয়ার আজিজ এর আগে র‌্যাব-১১ এর হাতে গ্রেফতার হওয়া মো. মাসুদ আলমের মাধ্যমে ২০১২ সালে উগ্রবাদীতার প্রতি উদ্বুদ্ধ হয়। এ সময় সে হানাফি থেকে সালাফি মতাদর্শে দীক্ষিত হয়।

এরপর জসিমউদ্দিন রাহমানীসহ বিভিন্ন উগ্রবাদী আলেমদের সংস্পর্শে আসে। ২০১৩ সালে গ্রেফতার জেএমবি সদস্য মাসুদ তাকে অপর গ্রেফতারকৃত জেএমবি সদস্য আবু ইউশার সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। আবু ইউশার মাধ্যমে সে জেএমবিতে আনুষ্ঠানিকভাবে বায়াতের মাধ্যমে যোগদান করে। এরপর থেকে সে জেএমবির দাওয়াতী কাজের সাথে জড়িত হয়। তার মাধ্যমে ১০/১২ জন জেএমবি সদস্য সংগঠনে যোগদান করে। সে তার ভাই মো. আফছার আজিজকে জেএমবির দাওয়াত দিলে অভি জেএমবির দাওয়াত গ্রহণ করে এবং তার বাসায় আবু ইউশা জেএমবির বায়াত দেয়। এরপর থেকে দুই ভাই একত্রে সক্রিয়ভাবে জেএমবির দাওয়াতী কাজ শুরু করে। দাওয়াতী কাজের পাশাপাশি ইমনের নির্দেশে সামরিক প্রশিক্ষণ গ্রহন করার জন্য নিজেরা রাজধানীর বিভিন্ন জিমনেশিয়ামে ব্যায়াম করা শুরু করে। ২০১৫ সালে অনু-অভির নিজ বাসায় স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র একে-৪৭ দিয়ে সামরিক প্রশিক্ষণ নেয়।

 

ইমন তাদেরকে এই অস্ত্র প্রশিক্ষণ দেয়। ২০১৫ সালের শেষ দিকে আব্ ুইউশা অপর জেএমবি সদস্য মো. আনোয়ারের মেয়েকে বিয়ে করে। এই বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা অনু-অভির বাসায় সম্পন্ন হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে তৎকালীন জেএমবির প্রধান সারোয়ার জাহানসহ শুরা সদস্য তাসলিম, রিপনসহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিল। এরপর থেকে সংগঠনে অনু-অভির গুরুত্ব বেড়ে যায়। বিভিন্ন সময়ে জেএমবির গুরুত্বপূর্ণ মিটিং ও আলোচনা অনু-অভির বাসায় সম্পন্ন হত। অনু-অভি ইতিপূর্বে গ্রেফতার জেএমবির বিভিন্ন স্তরের সক্রিয় সদস্য আবু ইউশা মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ ওরফে ইমন, আনোয়ার হোসেন, সাইফুল গনি চৌধুরী, ইমরান আহমেদ, মো. নবীন হোসেন রাব্বি, মো. ওয়ালীউল্লাহ চিশতি, আল-আমীন ও মো. মাসুদ আলমের সঙ্গে তারা দেশের বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন সময়ে যাতায়াত করেছে এবং দাওয়াতী কাজ পরিচালনা ও অর্থ দিয়ে সাহায্য করেছে বলে স্বীকার করে। অনু-অভির বাবা-মা জেএমবি থেকে ফেরানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। অনু বর্তমানে উত্তরা এলাকার জেএমবির দাওয়াতী শাখার প্রধান সমন্বয়কারী হিসেবে কাজ করত। আটককৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত র‌্যাব-১১ বেশ কয়েকটি সফল জঙ্গিবিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব অভিযানে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠনের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাসহ ৮৭ জন বিভিন্ন পর্যায়ের সদস্য ও পলাতক আসামীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় এনেছে। বিভিন্ন অভিযানে গ্রেফতারকৃত এসব জঙ্গিদেরকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের নেটওয়ার্ক এবং কার্যক্রমের অনেক তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। প্রাপ্ত সে সকল তথ্যাদি যাচাই-বাছাই ও বিশ্লেষণের পর জঙ্গি কার্যক্রমে সম্পৃক্ত যে সকল সদস্য এখনও গ্রেফতার হয়নি তাদের আইনের আওতায় আনার জন্য অব্যাহতভাবে অভিযান চালাচ্ছে র‌্যাব।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়