শিরোনাম
◈ নির্বাচনের মাঝেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক ◈ মিয়ানমার সেনার ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করা সম্ভব হচ্ছে না: সেনা প্রধান ◈ উপজেলার নির্বাচন: মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়দের সরে দাঁড়ানোর নির্দেশ আওয়ামী লীগের ◈ বোতলজাত সয়াবিনের দাম লিটারে ৪ টাকা বাড়লো ◈ মুজিবনগর সরকারের ৪০০ টাকা মাসিক বেতনের কর্মচারি ছিলেন জিয়াউর রহমান: পররাষ্ট্রমন্ত্রী ◈ রেকর্ড বন্যায় প্লাবিত দুবাই, ওমানে ১৮ জনের প্রাণহানি ◈ টাইমের প্রভাবশালী ১০০ ব্যক্তির তালিকায় বাংলাদেশের মেরিনা (ভিডিও) ◈ দেশের মানুষকে ডাল-ভাত খাওয়াতে ব্যর্থ হয়েছিল বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৫ জুন, ২০১৮, ০৮:৫৬ সকাল
আপডেট : ১৫ জুন, ২০১৮, ০৮:৫৬ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

রমজান ও মুসলিম সংস্কৃতি

ওয়ালি খান রাজু: আরবি বারটি মাসের আলাদা গুরুত্ব ও তাৎপর্য থাকলেও ইসলামি ক্যালেন্ডারে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ মাস হচ্ছে পবিত্র রমজান মাস। সিয়াম সাধনা, বদরের যুদ্ধ, মক্কা বিজয়, স্পেন বিজয় সহ নানা কারণে এই মাস মুসলিম জীবনে অত্যন্ত মহিমান্বিত এবং গুরুত্ব সহকারে পালিত হয়ে থাকে।

রমজান মাসের সিয়াম সাধনাকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী অভিন্ন সংস্কৃতি গড়ে উঠে। যেই সংস্কৃতির ভিত্তি হল তাকওয়া ও ভ্রাতৃত্ববোধ। যেই অভিন্ন সংস্কৃতি বিশ্বব্যাপী দেড় বিলিয়ন মুসলিমকে একই সুতোয় গেঁথে রেখেছে। অস্ট্রেলিয়া থেকে কানাডা-মরক্কো থেকে কাজাকিস্তান সহ বিশ্ব মানচিত্রের এপাশ থেকে ওপাশ সর্বত্র মুসলিম মনে একই আবেগ, একই অনুভূতি একই দিনলিপির প্রকাশ ঘটে। আফ্রিকার কালো মুসলিম, ইউরোপের সাদা মুসলিম কিংবা এশিয়া অঞ্চলের বাদামী মুসলিম এই রমজান মাসে সীমারেখা ভেদ করে একই রেখায় অবস্থান করেন, একই সংস্কৃতি লালন করেন।

আফ্রিকার কোন দরিদ্রপল্লি কিংবা আরবের কোন রাজকীয় পল্লীতে রমজান মাসে কোন ভিন্নতা পাওয়া যায় না, দারিদ্র্যতা যাদের প্রতিনিয়ত কষাঘাত করে তারাও এই রমজান মাসে প্রভুর সন্তুষ্টির জন্য আনন্দচিত্তে ইবাদাতে অংশগ্রহণ করেন, তাদের সেহরি ইফতারে উন্নত খাবার পাওয়া না গেলেও এই রমজান মাসে তারা যেই শুভ্রতা,পবিত্রতা, নিষ্কলুষতা অর্জন করার চেষ্টা করেন তা উন্নত ও অভিন্ন।

বৈশ্বিক সীমারেখার দরুণ বিশ্বের নানা প্রান্তের মুসলিম জীবনযাত্রায় কিছু ভিন্নতা থাকলেও এই রমজান বিশ্বব্যাপী সমগ্র মুসলিম উম্মাহ যেন এক হয়ে যান। রমজান মাস আসলে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সংস্কৃতির এক অভুতপূর্ব বিচরণ শুরু হয়। সংস্কৃতি বলতে আমরা বুঝি অনন্য সামাজিক গড়নকে লালনের মধ্য দিয়ে বিশেষ কোনো জনগোষ্ঠীর যে সামষ্টিক আত্মপরিচয়।
পবিত্র রমজান মাসে বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনগোষ্ঠীর এক সাংস্কৃতিক মহাসম্মেলন ঘটে। সাংস্কৃতিক উপাদানের অন্যতম উপাদান ধর্ম, আর রমজান মাসে ইসলাম ধর্মের অনুসারীদের ইসলামের অন্যতম স্তম্ভ রোজা বা সিয়াম সাধনাকে কেন্দ্র করে বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের মাঝে নানা রেওয়াজ বা প্রথা পরিলক্ষিত হয়। এসবের সমষ্টিকেই মূলত রমজান কেন্দ্রিক মুসলিম সংস্কৃতি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। বিশ্বব্যাপী নানা সংস্কৃতির প্রচলন রয়েছে, এরমধ্যে পশ্চিমা সংস্কৃতি, ভারতীয় সংস্কৃতি, ল্যাটিন সংস্কৃতি, আফ্রিকান সংস্কৃতি অন্যতম।

তবে এসবের মধ্যে পাশ্চাত্য সংস্কৃতিই সবচেয়ে শক্তিশালী এবং উল্লেখযোগ্য। পশ্চিমা সংস্কৃতি বলতে আমরা বুঝি ইউরোপ, আমেরিকার মানুষের জীবনযাত্রা ও তাদের সমষ্টিগত আচরণকে। পশ্চিমা সংস্কৃতির চালিকা শক্তির মধ্যে রয়েছে, খ্রিস্টধর্ম, জার্মানিক এবং হেলেনিক নৃতাত্বিক এবং ভাষাতাত্বিক গোষ্ঠীগুলো। তেমনিভাবে পশ্চিমা সংস্কৃতির পাশাপাশি সারা বিশ্বে মুসলিম সংস্কৃতিও খুবই আলোচিত। মুসলিম সংস্কৃতির চালিকাশক্তি হল ইসলাম ধর্ম, আর ইসলামের শ্লোগান হচ্ছে সাম্য ও একতা। সাম্য, একতার পাশাপাশি বিশ্বব্যাপী মুসলিমদের যেই রিলিজিয়াস রিচুয়ালস বিদ্যমান তা অভিন্ন, আর ইসলামের অভিন্ন মৌলিক হুকুম আহকাম, একতা, ভ্রাতৃত্ববোধ, সাম্যের বাণীই মূলত মুসলিম সংস্কৃতিকে সমুন্নত করে রেখেছে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়